আমি পানির অভাবে মারা যাচ্ছি
আমার পাতাগুলো সব শুকিয়ে গেছে
আমার অবস্থা দেখে
বৃষ্টির খুউব মায়া হলো
সে কথা দিলো , আসবে.
এসে আমার তৃষ্ণা মেটাব ,
আমার ধূসর জীবনে রঙ ছড়াবে ।
আরও বললো ;
যেদিন চাঁদ আর সূর্য মিলিত হবে
আকস্মিক আঁধারে ডুবে যাবে ধরণী
জমবে ঘণ মেঘ , বইবে হিমেল বাতাস
তখনি সে আসবে !
সেদিন , বৃষ্টি তার কথামতো এসেছিলো
কিন্তু তার আগে হিমেল বাতাসের পরিবর্তে এসছিলো তুমুল তুফান !
যার প্রকোপে ‘ টব সহ ’ মুখ থুবড়ে পড়েছিলাম আমি
আর নেমে আসা বৃষ্টি ফিরে যেতে না পেরে
বর্ষিত হয়েছিলো আমার ঠিক পাশের টবেই ,
তার শরীরে এখন নিত্য-নতুন ফুলের বাহার
নানারঙা প্রজাপতির কেন্দ্রবিন্দু সে
সজীবতায় মুখর তার পরিবেশ ।
সব মিলিয়ে মৃতপ্রায় আমার দিকে অবজ্ঞার দৃষ্টি মেলে
শব্দহীন শব্দে বলে ,
“বৃষ্টি আমার জীবনে কেমন মিশে গেলো , তাইনা !
অথচ সে জানেই না ,
প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৃষ্টি এসেছিলো আমার কাছেই ,
আর আমার পদস্খলনেই
সে সিক্ত হবার সুযোগ পেয়েছে ।
সকাল , ৮.৫৯
২৫/৫/২৩, ইং