সময়কে লিখতে গিয়ে, দেখি
বারোটা বেজে গেছে অনেক আগেই।
পচনের গল্পটা বোলবো বলে
উল্টে যাই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা
পড়ে যাওয়ার মতো কোনো বাক্য নেই,
শব্দ নেই, অক্ষর নেই
হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে সব,
কর্পূরের মত উবে গেছে যেন,
দিক-চিহ্নহীন নাম-পরিচয়হীন
সমস্ত জগতসংসার,
এই নক্ষত্রহীন বিবশ আকাশ
আর সেই চিরচেনা বাতিঘর ভেঙে পড়ছে
ভেঙে পড়ছে, প্রতিবাদহীন শুন্য প্রান্তরের ‘পরে
সেই ধ্বংসস্তূপের সমস্ত ছাই উড়িয়ে জেনেছি
এখানে ধ্বংসটাই সত্য, ফিনিক্স পাখিটা নয়।
আসলে এমনইতো হওয়ার কথা
বারোটা যে বেজে গেছে অনেক আগেই
তারপরও, কোথায় যেনো প্রচণ্ড বৈরী বাতাসে
নিভু নিভু জ্বলে দুর্বিনীত শিখা
কীর্তিনাশার গহীন কালো জলে
ভেসে থাকে সামান্য খড়কুটা।
এই নৃশংস নিকষ অন্ধকারে
একদিন জোনাকি খুঁজতে গিয়ে
নিখোঁজ হয়েছিল যারা,
তারা ফিরে আসবে আবার।
বিষবৃক্ষের লোভনীয় ফল আর মোহনীয় ছায়া
ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল যারা,
আরশি নগরের সেই চিরস্থায়ী বাসিন্দারা,
শুকনো রক্তের দাগ, শেকল-জর্জর শরীর নিয়ে
তারাও ফিরে আসবে…
শুল্কমুক্ত বিলাস বাহনের মসৃণ চাকায়
একদিন পিষে গিয়েছিল যারা,
সমস্ত বিকারহীন বিকলাঙ্গতাকে
বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উঠে আসবে তারা।
সম্মিলিত পদাঘাতে হয়তো ঘুচে যাবে এই দানবের কাল
সেদিন প্রভাতফেরীতে গাওয়া হবে ফিনিক্স পাখির গান।