একদিন সন্ধ্যায় শেষবারের মতো, অফিস থেকে আসবো চলে 
তারপর  আমরা  ফিরে  যাবো কৃষি কিংবা  পশু-পালনের  যুগে 
সদাজাগ্রত এই  ধূসর শহর  থেকে দূরে—   অনেক অনেক দূরে 
 
যেখানে সজীব-দীঘির জলে দুরন্ত শৈশব;  ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্বিধাহীন 
যেখানে  পথের  দু’পাশে   সদা  বাড়ন্ত  ঝোপ-ঝাড়;   সবুজ-নবীন 
যেখানে সুরমা-বরণ  মেঘ;  গলে গলে গড়ায় শ্বাশত শ্রাবণের জল 
ছাতিমের  ঘ্রাণ  নিয়ে,  কদমের পরশ বয়ে;   জুড়ায়  গহীন অনল 
 
যেখানে খালে-বিলে  ফুটে থাকে কচুরি,   শাপলা  কিংবা  রঙিন-কমল 
বজরা পানসি  চলে;   বিনম্র  ঢেউ  তুলে,   দৃঢ়  হাতে  ধরা থাকে  হাল 
অনাবিল হাওয়ায়  মেতে  ওঠে,     সহজ উচ্ছ্বাসে—জীবনের শাদা পাল 
যেখানে  রাতের  শরীর  জুড়ে  উড়ে  বেড়ায়,   কোমল  জোনাকির দল 
নিশীথ-পথের দিশারী  যেনো,    জেগে থাকা নক্ষত্রের  মতো  অবিকল 
যেখানে  নিবিড়  আঁধারের  স্রোতে,    ভেসে  আসে  মোহন বাঁশির  সুর 
কখনো বিষাদ কখনোবা সুখ, গহীন গানের বীণা;  বেজে  ওঠে সুমধুর 
 
সেখানেই যাবো  চলে,  এই  অবসন্ন-ভিড়ের  ত্রস্ত-নগরী  ছেড়ে দূরে—চিরতরে 
ধুলো আর কাদা মেখে, ফসলের মাঠ, হীরার কিরীট বসানো ঘাস—ভালোবেসে 
ধরণীর খুব  কাছে, শ্রমে আর  ঘামে;  সহস্র স্বপ্নের রঙে—সাজাবো সাধের ঘর 
ফুল পাতা আর পাখিদের সাথে; দিন কেটে যাবে, ছুঁয়ে জীবনের পরশ-পাথর 



জুন ২০২৪