ছুটির দিন,
চল আজ পালিয়ে যাই।
যেখানে কোলাহল নেই,
যেখানে সব দুঃখ ভাসিয়ে দেয়া যায়,
কোনো এক নদীর পাড়ে?
বিকেলের সূর্যটা যখন চার প্রহরের
আগে আর উঠবে না,
যখন তোমার চুলগুলো বাধা হবে বাতাসের,
সেই বাঁধের আড়ালে আমি চেয়ে থাকব,
স্রোতের নেশায়।
কখনও তোমার পাড় বেয়ে,
কানের কাছে যাব,
কিছু কথা, কিছু কবিতার ঝড় তুলব,
সে সময় কি শিহরিত হবে,
না কি ঝড়ই থামিয়ে দেবে?
পাঁচ-পাঁচ করে দশ আঙ্গুল মুঠোয়,
শিহরিত মনে চলে রক্তের স্রোত,
সেই স্রোত যখন বেরিয়ে আসতে চায়,
আঙ্গুলের কাছে এসে হেরে যায়।
কখনও শব্দ করে প্রবল,
কখনও ক্ষৗণ যেন বাতাসের সুর।
আঁচল পাল উড়ে যায়,
উড়তে দাও,
পাড়ের এই প্রান্তে আমি,
যেতে দেব না দূরে,
পাঁচে-পাঁচে দশ এক মুঠোয়,
যতদিন রবে।
তবে কি পালিয়ে যাবে সেথায়,
যেথায় কাঁশবনের মেলা,
অথবা ডুবুরি হয়ে পাড়ি দেব,
শাপলা বনে।
লাল-সাদা-গোলাপি সবে মিলে এক
স্পষ্ট নিয়ম,
কেন তারই মাঝে তোমার
অস্পষ্ট নিয়ম?
কেন বর্ণহীন ফ্যাকাশে চাহনি,
কেন এতো নীরবতা?
সুর্যাস্ত গেছে বলে ভয়?
জানো কি তুমি, কেন সে লুকিয়েছে?
তোমার উজ্জ্বলতার কাছে সে পরাজিত,
আর চাঁদটা হাঁসছে, তোমার জয় দেখে।
আরেকটি বার পাড় বেয়ে
কানের কাছে যাব,
চিৎকার করে, ঝড় তুলে বলব
ভালোবাসি আজও।
শোনাব একটি প্রেমের কবিতা।
এরপর সবকিছু যখন মৌনতায় ব্যস্ত,
ঠিক তখনই পানিতে ডুবে যাওয়ার শব্দ,
শেষ সময়টুকুও,
তুমি অগোচরে নও।