অনেকটা বছর পর,
পুরনো হিসাবের ছেড়া মলিন খাতা,
কলের বাতাসে উড়ে এসে,
মনের ভুবন করিছে দখল।
সে ছিল নন্দিনী,
আমি কোনদিন ভাবিনি,
অতি চাপা স্বভাবের মায়াবিনী,
এতদূর এসেছিল, আমি বুঝিনি ।
আবারো বলছি, সে ছিল নন্দিনী,
মনের আকাশে ঊড়ায়ে ঘুড়ি,
একাকী করেছে বিচরণ।
বছর বারো রাগিনির চুপি চুপি
না বলা ভালবাসা বুঝিতে
করেছি কালক্ষেপন।
অব্যাক্ত ভালবাসা কাফনে মুড়িয়ে,
গিয়েছিল ঘুমিয়ে,
পাশ্চ্যাত্যের যুবরাজ এসে,
স্বপ্নের করিডোরে রয়েছিল দাঁড়িয়ে।
অভাগার ভেঙ্গেছিল ধ্যান,
ফিরেছিল জ্ঞ্যান, পড়ন্ত বিকেলে,
সন্ধ্যা রাতের তারা হয়ে,
নন্দিনী তখন যুবরাজের আকাশে।
হিসাবের খাতাটা লাল কালি মেখে,
রেখেছিল অভাগা মনের কোণে।
দুঃখটুকু বুঝতে দেয়নি,
ছল ছল জলে ভিজেছিল গোপনে।
আজ অনেকটা বছর পর,
পুরনো হিসাবের খাতা খুলে,
একটি হালখাতার কার্ড লিখে,
পশরা খুলে বসে আছে অভাগা,
নন্দিনী একবার এসে করে যাও হালখাতা ।