সারাদিনের হাড় ভাংগা শ্রম শেষে।
মায়ের মুখে ঔষধটা দিয়ে।
ছোট্ট বাবুটাকে মাঝে রেখে,
আমি ও ক্লান্ত বধূ ঘুমিয়েছিলাম।
কথা ছিল!
কাক ডাকা ভোরে ওঠতে হবে,
অফিসে কত্তো কাজ জমা
হাতের কাজটি শেষ হলেই বোনাস।
বাবার ঔষধ কিনবো, মায়ের জন্য শাড়ি।
মেয়েটার একটি জামা দিতে হবে,
ছেলেটার জন্য ফোন, ধরেছিল আড়ি।
রাত তিনটে!
ছোট্ট বাবুটাকে বুক থেকে সরিয়ে,
গিয়েছিলাম ডিউটিতে।
ঘুমের ঘোরে মেয়েটি জামা টেনে ধরেছিল,
আমি বলেছিলাম, সকালেই আসবো ফিরে,
তোমায় নিয়ে যাব স্কুলে।
হায় কপাল।।
হঠাৎ চারিদিকে মৃত্যুপুরী আঘাত,
গগন বিদারী কান্নার আওয়াজ,
অন্ধকারে চারিদিক প্রকম্পিত।
এসেছিলাম ফিরে।
নিজের বাসাটি পাইনি খোজে,
যেখানে ছিল আকাশচুম্বি ভবন যত।
একটি নিমিষেই ধ্বংসস্তুুপ হয়ে গেল,
কাউকেই পেলাম না জীবিত কিংবা মৃত।
আমি নির্বাক।।
দাড়িয়ে রইলাম জীবন-মৃত্যুর মাঝেই।
স্বপ্ন যত ছিলো,
সবই ধূলিসাৎ হয়ে গেল এক নিমিষেই।