শেষ বিকেলের নীলিমা লুকিয়ে গেলো,
হঠাৎ চারিপাশ ঝাপসা হয়ে এলো
হিমেল বাতাসে মনের সমুদ্রে আঘাত করতে শুরু করলো নিরন্তর একাকিত্ব,
কোথাও কেউ নেই, শুধুই আমি একা
এই পথ জুড়ে হেটে হেটে বহুদূর,চোখে যেন কল্পনার বিরামহীন একটা সমুদ্রর।
একটু আগেও কোলাহলে লোকারণ্য ছিলো ধূসর তিমির ঘেরা এই প্রান্তর,
হাসি, আড্ডায় জমেছিল শেষ বিকেলের সময়টা,
এক ঝাঁক তরুণতরুণী ছিলো ঐ দিকটাতে,
ভালোবাসা আলিঙ্গন করছিলো তাঁদের পরশে পরশে,
আমিও অন্য সবার মত মেতে ছিলাম জীবনের নীল ভুলে,
কবিতা লিখছিলাম, নূতন একটা কবিতা
যেখানে জীবনের সবটুকু ছন্দ আসবে চরণে চরণে,
খুঁজে নিবো ভাবনা দিয়ে সুখের অতন্দ্র ভালোলাগা।
নদী কলরবে কুলকুণ্ডলিনী আমার কানে আসে,
সূর্যের রক্তিম নীলচে আভায় ডিঙি নৌকা করে এপার ওপার
স্পন্দনহীন শরীরে দীর্ঘ শ্বাস বাড়ে
বিরহ যাতনার স্মৃতির পটভূমি ভাবনায় ভিড় করে
সে জীবনের একমুঠো অতিত,
স্বপ্নে ঘেরা আবেগ বাস্তবতায় হয়ে গেছে বিলীন।
কবিতা আর লিখা হলোনা,
ভালোলাগার বিকেলটা থেকে গেলো অধরা
তবু শব্দমালার সংমিশ্রণে কিছু অনুভূতি আমাকে করে জালাতন,
আমি লিখি, পাণ্ডুলিপির বর্ণে বর্ণে কবিতার চরণ
চোখ দিয়ে ঝরে বিরামহীন অশ্রমালা
চোখে কোন পলক নেই,মনে নেই উচ্ছাস
বিকেলের সোনা রোদ লুকিয়ে ঘন হয় আঁধারের বিচারণ।
রাত নেমে এলে গ্রাম্য এই নদীর দুপাশে কেমন এক নিশ্চুপতায় ছেয়ে যায় দিবালোক জুড়ে,
অরণ্যে ঘেরা গাছগাছালিগুলো নুয়ে পড়ে শীতার্ত মানবীয় শীরের মত করে
একটু দূরে মাঠের মাঝে সাদাসাদা কিছুটা রূপসী আবারণ চোখে পড়ে,
বাতাসে দোল খায় আর কেমন ঝিমঝিম শব্দ করে
আমি কৌতূহলী হয়ে ছুটে গেলাম তাঁর গহীনে
স্পর্শ করলাম,নারীর শরীরের মত কোমল দেহ
অপরূপ যৌবনা তাঁর রূপ।
দুটো কাঁশফুল হাতে তুলে নিলাম,
আবারো ছুটে চললাম আমার গন্তব্যে,
সে পথ যেন শেষ হয়না,
থামেনা জীবনের রঙহীন কল্পনা,
অতিতের টানাপোড়ন আমায় ছাড়েনা।