কবিতা বড্ড প্রিয় ছিল তোমার
কাজের ফাঁকে রান্নাঘরে বসিয়ে
শোনাতে কবিতা আমায়;
নানা কবির কবিতা,
বাল্যবেলায় যা নিয়ে যায়,
কিংবা নৈতিকতা যে শিখায়।
কখনো-বা ভুলে গেলে এক-আধটুক,
জিজ্ঞাসিতে, “জানিস কি তুই বাকীটুক”?
এমনি করে কেটেছে কত যে সময়,
মিটেছে যে মনের ভুক।
আমি দূরবাসী হলে
লিখতাম কবিতা মনের খেদে,
তুমি থাকতে অপেক্ষায় আমার চিঠি পেতে;
আসলে চিঠি নয় বরং কবিতাই হাতে পেতে।
তাই তো বলতে তোমার ছোট্ট মেয়েরে,
“চিঠিটা তুই নে, কবিতাটা আমায় দে”।
জিজ্ঞাসিলে সে,
“জানলে কেমন করে কবিতা আছে এর মাঝে”?
বলতে, “কুট্টি'র চিঠিতে কবিতা থাকবেই আমার জন্যে”!
অথচ এর একটি কবিতাও ছিল না 'তোমায় নিয়ে'।
তোমায় নিয়ে লিখছি কবিতা যদিও এখন আমি,
তোমার ঠিকানায় তা পৌঁছাবে না নিশ্চিত জানি,
পারবে না পড়তে খুলে আমার কবিতার বাণী,
তাহলে পাঠাবো কোন ঠিকানায় আমার ব্যথাখানি?
২)
এই তো ক'দিন আগেও
বসে থাকতে কম্পিউটারের সমুখ
দেখতে স্নেহাস্পদ ভাইটির মুখ;
অথচ জীবন বাস্তবতা
নিয়মিত দর্শনে করলো আমায় বিমুখ।
তোমার শেষ বিদায়ের সময়ও কি ছিলে অপেক্ষায়;
দেখতে এ অভাগা ভাইটির মুখ একবার?
কে জানে!
অথচ কিচ্ছু না বলেই গেলে তুমি চলে,
কোন সে অভিমানে পরপার!
[২৯ মে ২০১৭; ভোর-রাত ৩টা ৩০মিঃ]