একদা তাড়িত করতো যে অবাঞ্চিত ভীতি,
গতকাল সাড়া দিয়ে গেল ফের সে অনুভূতি।
কলেজে এক পরীক্ষা হল করতে গেলে পরিদর্শন,
নকলের বস্তানীসমেত ছাত্রীকে করলাম বহিষ্করণ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই উপাধ্যক্ষ এলেন মৃদু পায়ে -
ডাকলেন ঈশারায় ঘরের এক কোণে,
বললেন কথা কিছু কানে কানে:
“খাতাটা ফিরিয়ে দাও ছাত্রীকে আমার,
নয়ত ধারালো ছুরি ঢুকবে পেটে তোমার;
সুযোগ আর থাকবে না কভু ফিরতে ভবে,
দেখো - কী সিদ্ধান্ত নেবে এবার ভেবে!”
আরও বললেন,
“কলেজ চালায় না প্রিন্সিপাল,
চলে আমাদের ইচ্ছাধীন,
থাকে সে-যে সদা পরাধীন;
করলে বাড়াবাড়ি,
বিদায় দেই তারে তাড়াতাড়ি,
আবার আনি আরেক জন,
যে চলবে আমাদের মতন।
সুতরাং বুঝতেই পারছো -
কী সিদ্ধান্ত আছে তোমার নেবার,
যদি চাও ফিরতে বাড়ীতে এবার।”
’থ মেরে খানিক্ষণ, হেঁট করে মাথা,
জানালাম অনিচ্ছায় আমার কথা:
“যাচ্ছি আমি চলে অতি সঙ্গোপনে,
খাতাটি দিয়ো তুমিই তারে গোপনে।”
ফিরে যাওয়ার পথে ঘিরে ধরলো ছাত্র ক’জন,
পিচ্চি এক শুধালো সে-যে নেতা একজন।
লম্বু এক এসে বসালো হাত আমার গালে,
বললো - পাউডারটা নিলাম স্যার তুলে।
সহসাই ভেঙ্গে গেলে আমার ঘোর,
করলাম অবলোকন - আলোর ভোর!
(২১/০৬/২০২৩; সকাল ৬টা)