মৃত্যুদণ্ড দেবার রাতে
দরজায় দাঁড়িয়ে একটি লোক
ভুল করে নিয়ে গেলো আমায়, হত্যা-তদন্তকারীর কাছে
বললাম আমি, “সাংবাদিক”।
সে বুঝলো না।
নিয়ে গেলো একটা ভুল কামরায়
ওখানে আইনপ্রয়োগকারী কর্তা শুধালেন,
“দেরী হয়ে গেলো, পাদ্রী”।
“আপনি ভুল বলছেন, আমি সাংবাদিক”- বললাম আমি।
“হ্যাঁ, অবশ্যই, ধর্মপ্রচারের সাংবাদিক আপনি”!
সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামলাম আমরা।
উপকর্তা বললেন, “আহ্! জনাব এলিস”।
আমি চিৎকার করে বললাম, “সাংবাদিক”।
কিন্তু তিনি জোর ধাক্কায় ফেলে দিলেন আমায়
কালো পর্দার ওপারে।
বাতিগুলো ছিলো অসম্ভব ঝলঝলে
দেখতে পাইনি চেহারাগুলো
আমার বিপরীতে উপবিষ্টদের।
তবে ধন্যবাদ স্রষ্টায়, আমি ভাবছিলাম
ওরা দেখছে আমায়!
আমি কেঁদে উঠলাম, “দেখো! আমার চেহারাটা দেখো!
তোমাদের কেউ-ই কি আমায় চেনো না”?
অতঃপর, একটি আবরণ ঢেকে দিলো (মুখসমেত) আমার মাথাখানা
ফিসফিসিয়ে বললো জল্লাদ, “কাজটা আমাদের জন্য কঠিন করো না”।
মূল: আলডেন নওলান (১৯৩৩-১৯৮৩)
[কানাডীয় কবি, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার]
ভাষান্তরঃ সৈয়দ ইকবাল