সৃষ্টির কৃতিকে ঘিরে স্রষ্টা যতোটা পুলকিত
সৃষ্টি নয় কভু স্রষ্টাকে নিয়ে ততোটা গর্বিত।
আত্মগৌরবে স্রষ্টা সদাই সৃষ্টিকে করে সমুজ্জ্বল
অথচ আত্মদম্ভে সৃষ্টি স্রষ্টার কর্মকে ভাবে অনুজ্জ্বল।
স্রষ্টারে অস্বীকার করা সৃষ্টির জানি মুর্খামি
স্রষ্টার মান তাতে হয় না ম্লান একটুখানি।
স্রষ্টা আর সৃষ্টির প্রেম না হলে যোজিত
সৃষ্টির মহিমা-গুণ হয় তবে ভূলুণ্ঠিত।

এসব জানার পরও সৃষ্টি কী-করে হয় বিযুক্ত
ভাবে কী-করে সকল বাঁধন থেকে সে বিমুক্ত?
ভাবলেই খণ্ডানো যায় কি কভু জবাবদিহির দায়
দেহ নয় বিচার যে হয় কেবল অতীন্দ্রিয় আত্মায়।
অসাড় দেহ না হয় রাখলে ধরে আপন অধিকারে
পারলে না কেনো তবে রাখতে ধরে চিদাত্মারে?
অসীম আর সসীমের লড়াই হয় কি কভু সমতুল?
সংকীর্ণ বোধেই রয়ে গেলো অবশিষ্ট ‘কেবল ভুল’!

(১৪/১০/২০১৪)