কী এমন শক্তি রাখো তুমি
দাপিয়ে বেড়াবে যে দেশ থেকে দেশান্তর?
জল, স্থল বা আকাশপথের কোনো যানে
নেই যে তোমার ভরসা
বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে করে তুচ্ছ
আবির্ভূত হলে তুমি সহসা
যেন আপন ডানায় ভর দিয়েই
বেরিয়েছো তুমি আনন্দ-ভ্রমণে!
বেড়াও তুমি হাওয়ায় চড়ে
কার আছে আপত্তি!
কিন্তু কেন আছড়ে পড়লে মনুষ্যকুলের উপর?
কোন অধিকারে তালা লাগিয়ে দিলে
মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ সকল ভজনালয়;
মাঠ-ঘাট, হাট-বাজার, ঘর-বাড়ি আর শিক্ষালয়?
কী করেছিলো মনুষ্যজীব তোমায়?
কোন অধিকারে বা শ্লেষায়
নিঠুর আলিঙ্গনে অসংখ্য প্রাণের টানছো ইতি?
কে দিলো তোমায় সে অধিকার বা শক্তি?
জানো কি? মনুষ্যজীব পারে, সবই পারে,
পারে বিতাড়িতে তোমায় চিরতরে;
কেননা রয়েছে যে তার সৃষ্টির সেরা হিকমৎ
শ্রেষ্ঠ জীবের রয়েছে যে প্রবল হিম্মৎ
রয়েছে আরো একজন ক্বাদির-ই-কুদরত;
তাঁর শক্তি কিংবা ক্ষমতার সামনে
নেই যে তোমার আদৌ কোনো মুরোত!
করোনা! তুমি বেশ দেখিয়েছো – আর নয়!
আফত! এবারে তুমি বিদায় হও!
করুণামাস আসার আগেই – তল্পিতল্পাসহ;
করুণাময়ের করুণাধারা বর্ষিলে সৃষ্টির 'পর
পালাবে ঠিকই তুমি চিরতরে হতে হতে দহ!
(১৬ই এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ; রাতঃ ১১টা)