দিনগুলো বড্ড একঘেয়ে লাগছে
জেলখানার কয়েদীদের মতো
প্রতিটি মুহূর্ত যেন যন্ত্রণার প্রহর গোনছে
মুক্তির প্রতীক্ষায়।

চেতনার প্রতিটি পরতে পরতে জেগে আছে
কেবল সেই অবাঞ্চিত ভীতি:
অপরাধীকে ধরে শাস্তি দিতে গেলেই
ঘটবে যত্তসব বিপত্তি
মিছিল, ঘেরাও কিংবা প্রতিশোধের উত্তুঙ্গ হুংকার।

তাইতো বরণ করতে হয় স্বেচ্ছা নির্বাসন
নয়তো গর্জে উঠবে পিস্তল
বিদ্ধ হবে ধারালো ছুরিকার চকচকে ফলা।

চিরায়ত  আইন,
সন্ত্রাস আইনের প্রয়োগ!
সে যেন দল ও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন
বরং প্রয়োগকারীরাই ভীত-সন্ত্রস্ত
তথাকথিত গণতন্ত্রীদের উৎপাতে।
তাহলে,
কিভাবে হবে অন্যায়ের মূলোৎপাটন?
কবে হবে অবসান
যন্ত্রণাদগ্ধ মুক্তির প্রতীক্ষা?

(জুন ১৯৯৪)

The days seem very boring
Like prisoners in prison
Every moment seems to be counting the hours of torment
Waiting for release.

Only that unwanted fear is awake in every layer of consciousness:
Whenever the criminal is caught and punished
There will be all sorts of obstacles
Processions, sieges or the loud roar of revenge.

That is why voluntary exile must be accepted
Or else pistols will roar
And the sharp blades of knives will pierce.

The application of traditional law,
or Anti-terrorism Law
seem that it differs according to the political party and the individual
Rather, the implementers are terrified
Of the harassment of the so-called democrats.
Then,
How will injustice be rooted out?
When will it end
the painful waiting of liberation?

(June 1994)