খেলতে গিয়ে অচেনা বাড়ি
তৃতীয় তলায় কলিংবেলটা বাজাই,
ছুট্টে নেমে মণ্ডপে আসি
তিলোত্তমাকে বেনী-
আসহকলায় সাজাই;
আমি সেই ছেলেটা
যে পুকুরে সাজাত কলাগাছের ডোঙা
আমি সেই ছেলেটা
যার পকেটে অক্সিজেনের ঠোঙা দেখে
কখনও বা হয়েছিলে কিঞ্চিত ক্লিষ্ট,
সেই রামধনু-রাঙা সাদা রঙেতেই
সালোকসংশ্লিষ্ট আজ,
আর সাথে
জ্বলীয় বাষ্প ছিল দু-চোখ উপচে পড়া
সে চোখ আমার চোখে পড়েনি
তাই আর্দ্রতার আরেক নাম "মরচে ধরা" ,
এভাবে হারায় কত বাবুসোনা ছেলে,
কত ছোট মেয়ে লক্ষ্মী,
এভাবে তাদের নাম রেজিস্টারে তুলে
সময় নেয় নতুন গল্প লেখার ঝক্কি,
হঠাৎ অক্সিজেনের অভাব বোধ করে
বহু জন্মের ক্লেশ
আক্ষেপ হয় এখনও জেনে
আসহকলায় লাল রঙটাই শেষ ।
তবে রাতে হঠাৎ কেউ
জিজ্ঞেস করে,
"আচ্ছা তো উয়ো ভি থা ? "
এভাবে একে একে পুরনো প্রেমিকাদের খোঁজ পায়
আমার অবাঙালি কবিতা ।।