কবিতায় বি্বর্তন এসেছে অনেক।।এখানে অনেক সুন্দর কবিতা প্রতিদিন পড়ি ,তবে  দুক্ষের কথা ,এ নতুন ধারা গুল খুঁজে পাই না।জীবনানন্দ বা নজরুল  বা রবীন্দ্রনাথ বা সুকান্ত পড়া ভাল তবে তাকে অনুসরন করে  সেই ধারায় কবিতা লেখা মোটেও কাম্য নয়।।ছন্দের কবিতা তে প্রচন্ড  
পরিবর্তন এসেছে।।ছন্দে এখন কবিতা লেখা হচ্ছে।তবে আগেকার দিনের স্টাইলে নয়। ভেবে দেখতে হবে, যে পুরান যুগের সিনেমা গুল দেখতে খুব ভাল লাগে।সেই যুগের সিনেমা আমার খুব প্রিয়।তবে এখন যদি সিনেমা বানাতে যাওয়া হয় তালে কি সেই পুরান স্টাইলে বানালে হবে? নতুন প্রযুক্তি অনুসরন করতে হবে।।তাই হচ্ছে।এটাই প্রগতি। সেই রকম কবিতা তে সেই আধুনিকতা চাই।

উদাহরন-----
      রবীন্দ্র সময় লেখা হল--সহস্র বত্সর ধরিয়া......
       জীবনানন্দ সময়----হাজার বছর ধরে...
   পরে লেখা হল------- কত বসন্ত ধরে বা কত হেমন্তে...
এখন তাকেই লেখা হচ্ছে---কত টুথপেস্টের ফাইল শেষে...
  মানে টা সেই হল।বিবর্তন এল।।


আগে এক যুবতি নাড়ির বর্ননা তে বলা হত নানা রুপের শব্দ। আগেকার কবিতা গুল পড়লে বোঝা যাবে।
তারপর  কিছু দিন আগেও নাড়ির সুন্দরতা কে প্রজাপতি,হরিন,ফুল,এসব দিয়ে বর্ননা করা হল।
সেদিন পড়লাম জনৈক কবি নাড়ির  সুন্দরতা বর্ননা দিতে গিয়ে বলেছেন--' ডানাভাঙ্গা দুপুর"। কি পরিবর্তন।

   আরও বি্বর্তন আনতে হবে।  তালেই তো মজা।
কিছু কিছু উপমা আগেও ব্যাবহার হইত,এই আসরে অনেকে আজও সেই পুরান উপমা ব্যাবহার করছেন।ওই উপমার বদলে নতুন কিন্তু ওই সেই  সমান অর্থের উপমা ব্যাবহার না করলে আর বিবর্তন হল কই।।

ছন্দে পরিবর্তন এসেছে।জনৈক কবির লেখা--১টা স্তবক দিলুম
    ''খুজতে থাকি নদি
  বাধঁতে থাকি চরে গান
হারান সেই নৌকা নেই দেখ
এখন তুমি আসমান'"।।
মিলিয়ে দেখুন আগেকার দিনের ছন্দের কবিতার সাথে।কতটা পরিবর্তন এসেছে  নিযেই বুঝে যাবেন।

কালকে যে কবিতা টা দিলেম ''তোমার জন্য কয়েক লাইন'' ওটা গদ্য ছন্দের টপ লেভেলের কবিতা গুলোর মধ্যে একটা।পড়লে বুঝবেন গদ্য ছন্দ কোন জায়গায় পৌছাচ্ছে।ওর থেকেও ভাল ভাল কবিতা আছে।সময় পেলে আবার দেব ।

(বানানে ভুল থাকতেই পারে।আমি বাংলা টাইপ করতে ভাল পারি না।তাই আগে থেকে ক্ষমা চাইছি)