গদ্য ছন্দ আধুনিক যুগের এক বিশাল ট্রেন্ড।।প্রচুর কবি এই ভাবে কবিতা লেখেন।। এই গদ্য-কবিতায় অনেক কালজয়ী স্রিস্টি হচ্ছে।    কিন্তু অনেকে এই ট্রেন্ড আপন করতে গিয়ে শুধু গল্প লিখে ফেলেন।।কবিতা হয় না। গল্প আর গদ্যছন্দের  কবিতার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে।। গল্পের মত লিখে দিয়ে তাতে সুর দিয়ে আব্রিত্তি করা জায়।কিন্তু ওটা আব্রিত্তির script হয় মাত্র,কবিতা নয়।গদ্যছন্দের  কবিতা লেখা মোটেও সহজ নয়।ঠিক না লেখা হলে just আবরজনা মনে হয়।

উদাহরন---আন্তরজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কবি সুনীল গাঙ্গুলির বিখ্যাত কবিতা 'কেউ কথা রাখে নি'-------1st stanza only

(কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা  দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি)..................।।
(পুরো গদ্যছন্দে লেখা...)
লক্ষ যা করতে হবে--ঃ
১) একটা সাধারন ঘ্টনা যে একটা বাচ্চা ছেলে বোষ্টুমীর গান শুনে আরও শুনতে চেয়েছিল। কিন্তু বোষ্টুমী তখন শুধু যাবার তাড়ায় বলে গেল পড়ে শুনিয়ে জাবে।।বাচ্চা মন তাকে ঠিক ভেবে বসেছিল যে সে আসবে।।এখনো আশা আছে আশবে।
...... এই সাধারন ঘট্না টা গদ্য ছন্দে লিখলে কি ভাবে লিখা হবে দেখলে বোঝা যায়।।মনে হচ্ছে খুব সহজ।লিখা যাবে।।আদৌ না।
২) উপমা use করা হচ্ছে।।অমাবস্যা শব্দের আগে চন্দ্রভূক শব্দের ব্যাবহার।  দিন শব্দের আগে শুক্লা  দ্বাদশীর শব্দ প্রোয়গ।
৩)শ্রতি মধুরতা আছে।।এমন কোন শব্দ ব্যাবহার হইয় নি যে শুনতে না ভাল লাগে।।
৪)সাধু ভাসা যেমন থাকিয়াছে,তাহাদের ইত্যাদির ব্যাবহার নেই।( (বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যাবহার হতে পারে।)
তাই এটা একটা  ভাল কবিতা।।
আশা করি পড়ে ভাল লাগবে ।।আরো কিছু বলার থাকলে বা প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্টে বলুন।।


**নোট-- আজকাল আব্রিত্তিকার রা বেশ কিছু কবিতা যেগুলি আদৌ কবিতা নয় মারকেটে বার করেন।তাতে আব্রিত্তিকার আর এই কবিদের খুব নাম-ডাক হয়।কিন্তু নানান কবি সম্মেলম আর কবি দের সাথে কথা বলে দেখলাম এই সব কবিদের স্থান নেই যোগ্য কবি মহলে।আমারা যুব কবিরা এই সব কবি ও তাদের কবিতা থেকে দুরে থাকব।