সদ্য জন্মানো শিশুটি, মা -কে হারিয়ে মা-এর মৃত্যুর কারণ বলে উপেক্ষা পেয়েছিলো
কুসমস্কারে ভরা সমাজের কিছু মানুষের জন্য মাতৃহারা মেয়েটির কপালে ,'অলক্ষ্মী' বলে অবহেলা জুটেছিলো
মাতৃহারা মেয়েটি এক মা -এর শূন্য কোলে আসবে বলে,
সেদিন মা-এর উঠোনে কোনো এক প্রাকৃতিক শক্তি হলদে সর্পাকার চিহ্ন এঁকে জানান দিয়েছিলো
মা - লক্ষ্মী আসছে তোর ঘরে,নিস বরণ করে
নাম রেখেছিলো লিজা, খুশির অশ্রু সবার চোখে এঁকে, মা -এর কোল দিলো ভরে ।
সেই মা -কে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি, বুকে আগলে রাখতো
মা -এর মনে কিছু দীর্ঘ ব্যথা আছে বুঝতাম না, ঠোঁটের হাসিতে ঢাকতো
যেদিন লিজার হাত ছুঁয়েছিলাম মনে হয়েছিলো ওর আঙ্গুলগুলো নিয়ে খেলি
ওর হাতের পরশ, ওর চাহনি, ওর ছোটো ছোটো পা, ওর সাথে খেলতাম,মনে হতো বইপত্র দূরে ফেলি ।
কোন একদিন মা- এর ঘরের অ্যালবাম-এ একটা ছবি দেখেছিলাম
দুটো অপরুপ সুন্দর শিশু, পাশে একি! ডাক্তার uncle আর Aunty সব গুলিয়ে ফেলেছিলাম
জানতে পেরেছিলাম, ঐ পাহাড়ের কোলে বেড়াতে গিয়ে ওরা হারিয়ে গেছে
তারপরও তারা ছুঁটে গেছে ঐ পাহাড়ে, সন্তানের টানে... যে পাহাড় কোল শূন্য করে দিয়েছে
সেই দুই সন্তান হারা মা -কে কখনও ভাঙতে দেখিনি, অন্তর কাঁদলেও বলতে শুনিনি
চোদ্দ বছর আগে যেই মেয়েটা আমার কোলে খেলেছিলো, নাম তার লিজা
আমার কল্পনায় আঁকা ওর সেই ছবি, আজ স্মৃতি, ভাবিনি হবে কোনোদিন,ওকে আমার কবিতায় আঁকা !