বুকের জ্বালাটা চাড়া দিয়ে ওঠে মাথা পর্যন্ত,
হার্ট ধুকপুক করে, মাথা দপদপ করে,
হাড় মজ্জা এক হয়ে আসে,
বুকের পাঁজরের খাঁচাটা ভেঙ্গে পড়তে চায়,
অসহ্য যন্ত্রনায় ।
কিন্তু তবু আমার খিদে পায়,ঘুম পায়,
আর মাঝে মাঝে কান্নাও পায় ।।
অন্ধকারের পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাত হোঁচট খেয়ে পড়ি,
উঠে দাঁড়াই অনেক কষ্টে,
শুধুমাত্র জীবনের ভালবাসার আলোটুকু নিয়ে
চলার চেষ্টা করি ।
মাঝে মাঝে নিবে যায় সেই আলোটাও ।
কিন্তু তবু আমার খিদে পায়, ঘুম পায়,
আর হঠাত কখনো কান্নাও পায় ।।
আমার বুকের যন্ত্রনাটা বেরিয়ে এসে মিশে যায়
সিগারেটের ধোঁয়ায় ।
অ্যাশট্রেটা ভরে ওঠে ধুসর ছাইয়ে;
সিগারেটের ফিল্টারটা আজ বাদামী হয়ে গেছে,
আমার মনের মতই অনেকটা তার রং ।
কিন্তু তবু আমার খিদে পায়, ঘুম পায়,
আর কান্না? পায় বটে ।।
শহরের সারি সারি মানুষের মুখগুলো দেখি,
কেউ খুশি, কেউ সুখী, আবার কেউ বা দুখী ।
কিন্তু আমার নিজের মুখটা কেমন তা আয়নায়
দেখতে পাই না; ঝাপসা লাগে ।
চোখের জলটুকু মুছে নিলেও পরিস্কার হয় না তো কই?
চোখে জ্বলে ওঠে চাপা আগুন !
মনের মধ্যে দৃঢ়তা আর স্পৃহা,
প্রতিশোধ নেবার, বদলা নেবার ।
কার ওপর নেব বদলা? নিজের ওপর? নাকি ভাগ্যের ওপর?
নিতে পারি না কারুর ওপরই ।
কিন্তু তবুও আমার খিদে পায়, ঘুমও পায়,
আর কান্না, খুব অল্প সময় পায় ।।
নিজের চোখের সামনে নিজে ধ্বসে পড়েছি,
নাকি নিজেই নিজেকে ধ্বসিয়ে দিয়েছি,
তা জানি না, কিন্তু ধ্বস নেমেছে বড়সড়,
ধ্বসে যাওয়া জিনিস আর গড়তে পারব না জানি
কিন্তু তবুও অদ্ভুত ব্যাপার,
আমার খিদে পায়, ঘুমও পায়,
অথচ এখন আর কান্না পায় না ।
ধ্বংস হয়ে গেলে এমনই হয় বোধহয় ।।