ছেলেবেলায় মাঠ বলতেই জানতাম----তেপান্তরের মাঠ।
অতবড় মাঠ,সব মাঠকেই আমি
তেপান্তরের মাঠের পাশে বসিয়ে নিতাম।
ভাবতাম সব মাঠ পেরিয়েই বুঝি রাজপুত্র যায় ঘোড়ায় চড়ে,
আর সব মাঠেই বুঝি রাজার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে হয়,
আমি যখন ফাইভে পড়ি তখন
তেপান্তরের মাঠের চারপাশে বসল গাছ
মাঠটা একটু ছোট হয়ে গেল।
যখন সেভেনে উঠলাম,ইতিহাসের গিলোটিনে কাটা পড়ল
অসংখ্য মানুষ
তখন মাঠের ভেতর দিয়ে নদী বইলো।
তেপান্তরের মাঠ তো,বি-শা-ল,
একটা নদীকে বইয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট,
তখন মাঠটা আর একটু ছোট হয়ে গেল।
নদী,গাছ---হবেই তো!
নাইন টেন হতে হতেই মাঠ এসে গেল হাতের মুঠোয়
নদী,গাছ,দোকান,স্কুল,পান্থশালা আরও কত কী
দেখতে দেখতে তেপান্তরের মাঠটা কুঁচকে এই এ্যাত্তটুকু
আমাদের ঝোপঝাড়-ভর্তি,ক্যাকটাস, পার্থেনিয়াম
পেঁচাডাকা,উলুরি-ঝুলুরি মাঠ যে কখন হয়ে গেল
টেরই পাওয়া গেল না
হায় রে ,আমার সাধের তেপান্তরের মাঠ!