জয়তুন শুনলাম দ্যাশে মড়ক ধরছে
জামতলির মোড়ে গেলাম
দারোগা বাবু কইল ঘরে থাহো
মজু সওদাগরের কাছে যাইয়া কাম চাইলাম
কইলো ঘরে থাহো
লাল ঠোঁট করা ওই ব্যাংক দিদির
কাছে পঞ্চাশটা টেহা চাইছিলাম
কইলো ঘরে থাহো
বাইচ্যা থাকলে অনেক খাইতে পারবা।
জয়তুন আমার ঘরডা কুনহানে
ইট্টু দেহাইয়া দে আমি ঘরে থাকুম
জয়তুনের মুখে জবাব নেই
আছে বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
দেখা বৃথা আস্ফালন।
হয়তো জয়তুন বলতে চায়-
ওই যে আসমান,
এই পিচঢালা পথের উপরে
আসা ঠাডাপড়া রোউদ,
নীল গাং ভাইংগা আসা
সর্বনাইস্যা ঢেউ,
এই দুনিয়ার যত গাছ গাছালি
বেবাগ তোমার ঘর বাজান।
তুমি আর রিফিলের লাইনে
তিন ফুট দূরে খাড়াইয়া খালি
হাতে ফিরা আইসোনা বাজান
ঘরে থাহো,
বাঁচলে অনেক খাইতে পারবা
দ্যাশে মড়ক নামছে।
রাইতের আন্ধারে যহন কিলবিলাইয়া
মরা আলোগুলান জ্বলজ্বল করে
ওই ভাংগা ডাস্টবিনডার কাছে
তহন ওই হাভাইত্যা কুত্তার লগে
আমিও যাই খাওন খুঁজতে
তোমার কোনো চিন্তা নাই বাজান
ঘরে থাহো দ্যাশে মড়ক নামছে।
রচনাকাল - ৭/৪/২০২০- দুপুর-২ঃ১৫.