হে কবি তুমি নির্বাক কেন?
হাতুড়ি, শাবল ক্ষয়ে গেছে নাকি?
দশে মিলে বুঝি হেরে গেছ আজ?
বজ্র কন্ঠ হারিয়েছো নাকি?
বিদ্রোহ বুঝি থেমে গেছে আজ?
এ বুঝি আজ তোমার বাংলাদেশ?
কোথায় তোমার রফিকের তেজ? জব্বারের স্লোগান?
নুর হোসেনের রক্তের শার্টে পতাকা করেছ নাকি?
কলমে তোমার শান গেল কই?
কেন গড়েছিলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র?
এনেছিলে কেন কবিতায় দ্রুতি কন্ঠে বিদ্রোহ?
প্রয়োজনে কবি আসেনাই আজো ৫২ এর তেজ,
আসেনাই কবি ৭১ এর স্বাধীন বাংলাদেশ্ִ
নির্বাক কেন, বল কিছু কবি,
আজও বাংলায় মায়ের কান্না, ছেলেহারা হয়ে আজও খোঁজে পথে,
কান পেতে শোন,
বাতাসে আজও লাশের গন্ধ,
আগুনে ঝলসে শ্রমিকের দেহ,
তরুন জোশি ছাত্রের দেহ আজও ঝাঝড়া হয়,
তোমার কলমে ধরেনা শব্দ?
আজওতো কবি রক্তের স্রোতে রাজপথ লাল হয়,
কোথায় তোমার স্বাধীনতা?
আজওতো কবি মায়ের বোনের সম্ভ্রম হানি হয়,
সেদিন তোমার কলমের কালি, থামেনিকো কবি দেখেছি আমি,
আজ কেনো তবে থামে?
কান পেতে শুনে দেখো,
আকাশে বাতাসে অদৃশ্য হয়ে শকুনিরা আজও ডাকে,
কি ভাবছ কি হে কবি?
এ যে নর শকুন আর নর শকুনি,
বড় দালানের চেয়ারে বসে বসে মাংস খুবলে খায়,
জাগো হে বন্ধু কবি
কলমে তোমার নব চেতনার মুক্তির আঁকো ছবি,.