________
দূর আকাশে ধ্রুবতারার মতোই
অনেক দূর থেকেই চেনা যেত
চেক লুঙ্গি আর ফুলহাতা সাদা ফতুয়ায়
সৌম্য শ্যাম বেঁটে একটি মানুষ
ধীর পায়ে ঘাসের মখমলে পায়ে পায়ে
যেন ঊঠে আসছেন সে কোন ধ্যানমগ্নতা থেকে
কোন উন্মনা বৃক্ষই যেন নিজের শেকড় উপড়ে নিয়ে
হেঁটে যাবার আনন্দে চলেছে পথ বেয়ে ।

হাজারো কচি কণ্ঠের শত আবদারেও
অচঞ্চল হাসিমুখে অবারিত প্রশ্রয়ের রেখা
ফাগুন পূর্ণিমার চাঁদের মতো
পেতলের ঘন্টা হাতে - একমনে --ঢং ঢং ঢং --
ঘন্টার ধ্বনিতে ও জাতীয় সঙ্গীতের সুরাবেশে
শুরু হলো রম্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের একটি দিন
বলো বৃক্ষ তোমার কাছে এ মাটির কতখানি ঋণ !

শান্তধীর বৃক্ষ শুধু শিশুর মত সরল হাসিতে
সুদীর্ঘ বারান্দা ধরে হেঁটে চলে যায়,
যেতে যেতে তুমি কবেই ছুঁয়েছ আকাশ
নিজেরই অজান্তে তুমি রেখে গেছো হাতের ছাপ;
অবারিত মমতার পাঁপড়ি ছড়িয়ে গিয়েছ পথে,
ঘাসেরা রেখেছে চিহ্ন তার পরতে পরতে ।

রম্যভূমি রামুর আদি জ্ঞানমন্দির
তোমার জীবন জড়ানো চারণভূমি
শূন্য ক্লাশ ঘর,কেরাণীর অফিস,হেডস্যারের বাড়ী
খেলার বিশাল মাঠ জুড়ে তোমার জন্যে হাহাকার
তোমার ছায়া যেন ঘুরে বেড়ায় নিশিদিন
কেউ কেউ দেখতে পায় শিশুর সরলতায়
ছাত্রদের সাথে খুশীর উদ্ভাসে দিচ্ছে হাততালি
খিজারী হাইস্কুলের আজীবন দপ্তরী আতর আলী ।