শুদ্ধ কবিতার ধারা সৃজনের মোহন চেতনায় এই পঞ্চপাণ্ডব যে অনস্বীকার্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তা' বলাই বাহুল্যমাত্র ।
কবি অমিয় চক্রবর্ত্তীর 'রাত্রি' কবিতাটি যখন প্রথম প্রকাশ হয় তা রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল তখন উঠতি সাহিত্যসেবীদের মধ্যে; যেমনটি হয়েছিল কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা 'বনলতা সেন' নিয়েও । 'রাত্রি কবিতাটি ছোট্ট একটি কবিতা - কিন্তু অন্তরে বোধের মাত্রা কতখানি গাঢ় হলে পরে এমন কবিতা লেখা যায় তা' ভেবে অবাক হতে হয় ।।
অমিয় চক্রবর্ত্তী'র কবিতা
'রাত্রি'
----
অতন্দ্রিলা,
ঘুমোওনি জানি
তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে
বলি, শোনো,
সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়
---সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি---
কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,
আলাদা নিশ্বাসে---
এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই
কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা---
অতন্দ্রিলা,
হঠাৎ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোত্স্না,
দেখি তুমি নেই |
---------------------------
কী এক গাঢ় গভীর কবিতা --!
'কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন, আলাদা নিশ্বাসে---'
এই একটি বাক্যবন্ধের মধ্যেই কতখানি হাহাকারের, কতখানি বিরহের, কতখানি অন্তঃসলিলা ভালোবাসার প্রবাহ তা' গভীর কবিতাসেবী মাত্রই বুঝতে পারেন ।।
(চলবে)