২৪.০৮.১৭
ভূমি মাতা বদ্বীপ আমার,
নিজে ছিলে অগঠিত তুমি যে তখন!
ছিলো উত্থানে উত্থিত হিমালয়
তোমার আঁতুড় ঘর।
তোমার-ই বুকে লেখা গল্পকথা যতো
মান্ধাতার পুত্র মহারাজ মুসকুন্দ-
ভাড়াটিয়া ছিলো।
দেবাসুর যুদ্ধ!
দেবতারা হাস্যকর ছিলো-
যখন উদ্বাস্তু।
তখন তুমি নিতান্ত দুরন্ত কিশোরী ছিলে এক,
তারও অনেক অনেক আগে টারশিয়ারি-
প্রসব যন্ত্রণায় কাতর কম্পিত পৃথিবী।
সৃষ্টির খাতিরে এনেছিলো-
ধ্বংস, উত্থিত হয়েছিলো হিমালয়।
তোমার শৈশবে প্রজাপতি হবে বলে-
গুটিপোকা তুমি, ঢেকেছিলে দেহ!
তোমার বরফের খোলে একদিন
ছিলে তুমি বিবসন দিঘল তনুলতা।
প্লাইস্টোসিন কালে গড়ে ওঠা সোপানগুলো
পললে পললে গিয়েছিলো ভরে।
গড়ে উঠেছিলো
কোমলাঙ্গ মাখনের পুরুস্ঠ সম্ভারে।
ঋদ্ধ তোমার যৌবনাবতী অঙ্গ বেয়ে
বয়ে গেলো কতো বেহেস্তি নহর
তিনটি নয় আরও আরও অনেক
(অসংখ্য শাখা প্রশাখা তার)।
সৃষ্টি সুখে কামনার জ্বরে কেঁপে কেঁপে
কখনোবা ধীর
কখনোবা অধীর অস্থির তুমি উন্মাদিনি লীলাবতী!
তোমার স্নেহসুধায় আহ্লাদিত গঙ্গারিডি,
সিন্ধু, মহেনজোদারো, হরপ্পা আরও যতোকিছু,
-বাসনার রঙে সাজানো অজান্তা ও ইলোরা।
কথা-উপকথা, আখ্যান অথবা রূপগাঁথা,
লক্ষীর গুণে হেলায় কুশধ্বজ-মালাবতীর কন্যা বেদবতী সহসা,
কৃষকের লাঙ্গলের ফলায় সেখানে-
তোমার যৌবনে উঠে আসে আহা, হয়ে জঠরিস্থ সীতা!
সকল খেলায়, সকল লীলায়-
বীজমন্ত্র একতার,
এক আঁচলে বাঁধা পঞ্চপুত্র- নয় তো মেটাফোর!
সেতো ছিলো ঘোর সংসার দীক্ষা- কুন্তির;
কোথা সেথা আর্য, যাযাবর, মুসাফির!
লাঙ্গল সত্য, কৃষক সত্য
আচার সত্য, যাকিছু লোকায়ত;
অনন্ত যৌবনা ভূমি মাতা তুমি-
গড়েছো নিজেরে,
আর গড়েছো আমারে;
অনার্য! সে তো আমিই। - ভূমিপুত্র, উচ্চশির।