২৪.১২.২১
কৃষ্ণপক্ষের সন্ধায়
কাল মাঠে
নৈঃশব্দ্যে ছড়ানো ডানা, সন্তর্পণে-
জবুথবু তৃণদল।
তখন হড়কা বানে কুয়াশায়
ভূতাবিষ্ট আমি
আর এক কিশোরি ছাতিম গাছ
একই চাদরের নীচে।
ডাগর কালো আঁধারের গ্রাস পৌষির এলোকেশে
ঠায় দাঁড়িয়ে কুয়াশার সাগর সমেত লোপাট!
পৌষি এসেছিলো কাল কৃষ্ণ-পঞ্চমীর রাতে।
তার শিশির-স্নাত
স্নানের জল
কেশ গড়িয়ে, ললাট মাড়িয়ে
যুগল ভ্রূর মায়া কাটিয়ে,
নাকের নোনাজলে মিশেছিলো-
আমারই গন্ডদেশে কাঁঠালের আঠার মতো!
কাল কৃষ্ণ পঞ্চমির রাতে-
প্রথম প্রহরের হিমেল হাওয়ায়!
আহা, শিশিরে নেতানো কচি ছাতিম পাতার মতো
নরম কোমল বুকের উষ্ণতা তার,
বরফ গলিয়ে শোণিত সাগরে ঢেউ তুলেছিলো বারবার!
তারার তিমিরে আড়মোড়া দিয়ে হেসেছিলো চাঁদ- আরও পরে।
উষ্ণতা ফুরায়ে গেলে পথে জোস্না চাদর বিছিয়ে দিয়ে
পৌষি বলেছিলো- বিদায় এবার!
পৃথিবীর কক্ষপথ ঘুরে
এসো ফিরে
রইবো আমি চেয়ে রাত জাগানিয়া চাঁদ, দুরে
গ্রীষ্মের তেষ্টা নিয়ে এসো আবার।
ফাগুনের সুধাটুকু রেখে দেবো
চৈতি বাসনা মিশিয়ে সাধ্যমত
নব-প্লাবনে ভাসিব সখা
তোমার প্রেমে নামিলে বর্ষা
বোশেখ-জৈষ্ঠির মধুপান শেষে।
অতপর একদিন দেখো-
কাশবনে বসে
আমি খেলবো শরৎ আকাশে
তোমার দুচোখে জাগিয়ে হেমন্তমায়া!
তারপর ঠিক একদিন
এমনি সন্ধায়
নক্ষত্র মায়ায়
আবার নাহয়
রাখিও মাথা আমারই বুকে
ফসল তোলার পর- এই দেশে, এই মাঠে।