১৯.০৪.২০
প্রাচ্যের দিগন্ত রেখায় প্রশান্ত মহাসাগরের কোল ঘেষে,
কিল-বিল করে উঠিলো কোনো এক অচেনা জোঁক এসে।
হাঁকিলো রথি মহারথী সকলে যতো ছিলো যেথা,
গর্জে উঠিলো খেদে খোদ পুঁজিশ্বর, কোথা গেলে নারোদা?
ধেয়ে আসে ছেয়ে আসে কই দেখোনা তো চিনেজোঁক,
শুধু চাঁদা চাঁদা, করো চাঁদাবাজি যেখানে যাখুশি হোক!
ছোট বড় যতো আছে গণেশা পুরো জগৎ ভরে,
সবারে কহিলে চাঁদা বন্ধ হবে দেখো জীবনের তরে।
নারোদা কহে কুল ডাউন প্রভু ভেবে দেখো খুব ধীরে,
জাগিলে সবে কিভাবে মোরা তরী নিয়ে যাবো তীরে।
বলি যাহা মুখে করি নাতো তাহা কোনদিন মিন
কখনো প্রভুর করি নাই কভু জীবন সঙ্গীন।
পুঁজিশ্বর কহে ট্রাম্প দিতে হবে চিনেজোঁক করে খুন।
নারোদা কহে উতলা কেন প্রভু হাতে আছে মোর নুন।।
প্রথম জনমে পারিনি যেটা এখন পারঙ্গম বটে।
শৈশবে পারিনি যদিও যৌবনে চোখ গেছে ফুটে,
মেলাবেন প্রভু বসে বসে শুধু যেখানে যা কিছু ঘটে।
পিটিলো ঢেঁড়া কবি নারোদা পথে হাটে মাঠে ঘাটে,
খুঁজো খুঁজো খুঁজো যেখানে যেখানে আছে যতো জোঁক,
তারপর কহো নিজেরে তারে করিতে কারা ভোগ।
ফাঁকে-তফাতে থাকো, যাবে তবে ঘুঁচে জোঁকের ফন্দি,
যুদ্ধ করো ঘরের ভিতরে বাঁচো মরো থেকে বন্দি-
আছি মোরা পথে হয়ে যাবে শেষে নবতর কোনো সন্ধি।
ফাঁকা কারখানা, ফাঁকা মধুঘট, আর ফাঁকা পথ-ঘাট,
তাই গণেশারা সবে উঠে কলরবে বুক ঠুকে পটাপট,
পরে লক্ষির ঝুড়ি পেয়ে গেলে কুড়ি দিয়ে দেয় চম্পট!
তামাদি মজুরি করে আহাজারি শ্রমিকের দল পথে,
আড়ালেই বসে পুঁজিশ্বর হাসে মিলে নারোদার সাথে!
হয়ে অস্থির কহিল সেতো ফির খেলা দেখি বড় ধীর!
তুলো লক ডাউন গেয়ে জয়গান বেঁচে থাক শুধু বীর।
নারোদায় কহে ধীরে প্রভু ধীরে এলো বুঝি ফিরে,
পেটে খিদে পুরে কতোক্ষণ ধরে রহিবে সে ঘরে!
বাহিরিবে নিজে দাঁতে দাঁত চেপে করিবে না কেউ ফোঁস,
রহিবে না তবে ইতিহাস বুকে আমাদের কোনো দোষ।
কলের ঘরের কলের চাকার কলের মানুষ গুলো,
দেখুন গুণে একটু নাহয় বেশি কিছু টিকে গেলো!
মনুষ্যরূপী প্রাণীগুলো যদি থাকে ঢেড় ভবে,
প্রভু-সকলের মধুপান তবে আরো তো সহজ হবে,
তাদের তরে রচিবো মোরা মনুষ্যত্বের বচন-
পুঁজিশ্বর হাসিয়া কহেন সই আকিঞ্চণ।