(রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায়)
    ০১.০৮১৭

বিয়ার সানাই বাজে
বেটার বিয়াও সুদিনের আইজ
বাছোত চড়ি আইসে!

সুদিনের বাপ শেলা
নাম আচিলো নালমোন,
আনচিলো মোক-
হাঁটে হাঁটে
পালকি যায় নাই মেলা।

টানিয়া ঘানি জ্বালায় জ্বালায়
অনটন আর হেলায় ফ্যালায়
ত্যাল চিকনাই
মানুষটা মোর-
হচিলো যে কালা।

সুদিনের মাও ভাবে গালোত দিয়া হাত-
কি দিন আচিলো ব্যাহে
আইতোত শিয়াল ডাকে-
ধান পাক পাক পাক ,
ধান কি আর পাকে?
হাত্তি ঠেলা যায় , কাত্তি কি আর যায় ?

নাতি বউয়ে এ্যালা
নাল ধুতি পিন্দে,
ঠমক ঠমক হাটে
কাউয়া পড়ে গাছোত


কতোদিন জ্যাট মাসোত
দানা জুটে নাই প্যাটোত,
স্বাধীন, বিজয়, শাসন, সুদিন
মাটিত পড়ি কান্দে।

মোচড় মারে বুকোত-
বাপের পরাণ মানে,
সুদিনের বাপ সানজোত
মাইনসের কাঁটোল আনে।

সুদিনের মাও ভাবে গালোত দিয়া হাত-
কি দিন আচিলো ব্যাহে
আইতোত শিয়াল ডাকে
ধান পাক পাক পাক
ধান কি আর পাকে ?
হাত্তি ঠেলা যায়, কাত্তি কি আর যায়?

ছেঁড়া ফাঁড়া ধুতি
তালি দেওয়া তবোন
কড়া পড়া খালি পাঁওয়োত
কাটি গ্যালো জীবন।

স্যুট পিন্দিয়া এ্যালা,
সুদিনের ব্যাটা আইসে
বৈদ্যাশ খাটি ট্যাকত
আলতা ছাবোন নিয়া।

সেবার আষাঢ় মাসোত
না হচিলো পানি
না আচিলো কাম,
সোয়ামিটা কাঁন্দে।



ব্যাঙের বিয়ার নামে
মাঙ্গি আনি চাউল
আন্দিচিনু ভাত।
ভাতের কি বাহার,
বোল্লার টোপ ভাত,
চোক ছলছল করে।

সুদিনের মাও ভাবে গালোত দিয়া হাত-
কি দিন আচিলো ব্যাহে
আইতোত শিয়াল ডাকে
ধান পাক পাক পাক
ধান কি আর পাকে?
হাত্তি ঠেলা যায়, কাত্তি কি আর যায়?

বসিনা দিনে আগোত
হচিলো নানান গান
আইজো পড়ে মনোত
ছওয়া ধরি প্যাটোত
খেড়কীত বসি শুনচুনু মুঁই
পাইলা ডাংগার গান।

নাতি বউয়ে এ্যালা
বাইশ্যার দিন ঘরোত
বসি টিবি দ্যাখে
ট্যাঙ্গা ত্যাঁতৈল খায়,
মুচুত মুচুত হাসে।

কতো আশিন মাসোত
ঝড়ি সাঁতাওত ভিজি
প্যাটে ভাতে মানষেটা মোর
যাইতো কামে দিনোত।



আইতে থালাত ভাত
আনিলে মোর ছওয়াগুলা
কুলবুল বুল করে
তাই দেকিয়া পরাণটা মোর
সাঁতাওর মোতন ঝরে।

সুদিনের মাও ভাবে গালোত দিয়া হাত-
কি দিন আচিলো ব্যাহে,
আইতোত শিয়াল ডাকে
ধান পাক পাক পাক
ধান কি আর পাকে?
হাত্তি ঠেলা যায়, কাত্তি কি আর যায়?