২৯.০৮.২৩
বাতাস দুলে ওঠে, বাতাস ঢেউ খেলে যায়
বাতাস চন্দন লেখা লেখে,
বাতাসের গায়।
প্রত্যুষের গোলাপ কুঁড়ি কাঁটার পাহারায়
গোপন হাতছানি দিয়ে ডাকে
চোখে চোখে চুমু এঁকে দেয়।
ঈষৎ, হলদেটে পাতার আড়ালে
কেঁপে ওঠে, দোলে ওঠে
জাম শাখে, যুগল হরিয়াল ছানার ডানা।
চিঁচিঁ ডাকে, উঁকি মারে
সকালের লাল ঠোঁটে-
পেতে চায়, আদুরে মুখে প্রথম শস্যদানা।
ঢাক পেটা বারি শুনে শিমুল তুলোরা
সকালের রোদ মেখে ফাগুন হাওয়ায়
রোদ সুখে উড়ে;
বাতাসে বিভোর ঘোর।
লজ্জাবতী ফুলেরা জাফরান রঙ মেখে
সকালের রোদচুমো আঁচড় কেটে
বিদ্যুৎ রেখায়, বর্ণালী চোখে তাকায়।
পুলক ঝরানো বাতাস শীৎকার ধ্বনি তোলে।
স্পর্শসুখে- ঢলে পড়ে,
কন্টক উঁচিয়ে, লজ্জাবতী মেয়ে।