২২.০৩.২৪

করোটিপুর নীল নদীতে
উছলি উঠেছে খেয়ালি প্লাবন
লাল-নীল দোপাটিতে
আর সিঁদুরে সেজেছে- উল্লসিত
মৎস্য কন্যারা অকৃপণ

হলুদ বিকিরিত আভায় নীলাকাশ
সোনা জলে চুবানো চাঁদোয়া
সময় নদীতে স্রোতস্বীনি কলতান
অন্দর উঠোনে যেন কাহার বরণ!

সুবাস মাখা বাতাসে খেয়ালি আলাপ
সম্পর্ক কাঁটা মাথায় রেখে-
হাসছে অনিন্দ্য গোলাপ

কি বিষন্ন ধুসরিত মাঘি দিন শেষে
মেঘবতী সুনীল আকাশ
অনির্দিষ্ট বার্তা পেলো গুমোট বাতাস
গাছের পাতারা তাই থমকালো হঠাৎ
গুমোটে গুমোটে হলুদ নিয়তি
-পুলকিত হলো শিরায় শিরায়

নীল নীল নোনা জল চুঁইয়ে একদিন কবে
ভরে গিয়েছিলো উঠোন জলাঙ্গী যবে
কচি ও পুরোট সমস্ত পাতারা ঝরে
একে একে আগে পরে
নীল ও পিঙ্গল পঁচা জল
কালো হয়েছিলো ধীরে

কথার কর্পূর পাহাড় কবে যে উবে গিয়ে
ব্যথার বাষ্প নীলামা নিয়ে
নীল অধঃক্ষেপ গেছে রেখে অথই গভীরে


চকিত চিকন শাণিত কিরণ
তারই রোশনাইয়ে ফেঁসে
ঘুচায়ে হিম সন্ন্যাস জ্বালা
দিগন্ত আয়নায় উঁকি দিলো সমস্ত মেঘমালা

মেঘেদের দুধে
পুনঃ হেসে ওঠে ধরা
দোদুল তাকায় আকাশ- ঘাস শিশুরা
শীত বৃষ্টিতে শীতের শেষে
কেঁপে কেঁপে ওঠে
উঠোন চুমোয় উপুড় আকাশ

এমনতরো নতুন দিনে
এসেছিলো ফিরে
হাওয়াই মিঠাই নয়ন মেলে
চিত্ত লোকে বসন্ত বাতাস।