সময়ের সাথে আমাদের হয়েছিল সখ্যতা ,
ভেদাভেদ মুছে মনের মিল পেয়েছিল মুখ্যতা ,
বিকেল চারটে বাজলে শুরু হত যে বল পেটানো ,
পড়া শেষে দিনদুপুরের গল্পে হত দিন কাটান ।
ওর সাথে মেলামেশাতে ছিল মার আপত্তি ,
কলোনির বাজে বুলি শিখে নাকি হবে বিপত্তি ,
মায়ের কথা উড়িয়ে দিতাম আমি হেসে ,
বন্ধুত্বের কাছে শ্রেণীবিভেদ হারত অবশেষে ।
একদিন ওকে পেলাম আমি সহপাঠী রূপে ,
পাড়া ছেড়ে হল পরিচিতি ওর স্কুলের বন্ধুদের গ্রুপে ,
কথা বলা ও মেধায় ছিল ও একটু এগিয়ে ,
কিন্তু ভাবিনি আমি কখনও সেগুলি নিয়ে ।
পরীক্ষার ফলাফলে ও হল প্রথম ,
দশ নম্বরের তফাতে হলাম দ্বিতীয়তম ,
বন্ধুদের আকর্ষণে এবং স্যারের চোখে ও হল প্রিয়তম ,
ওর জন্য খুশি হয়েও সে খুশি লেগেছিল কেমন অন্যরকম ।
ধীরে ধীরে হল যে ও ক্লাসের ফার্স্ট বয় ,
ওর খ্যাতি আর মায়ের তুলনায় মনে ঢুকল বিষ আর ভয় ,
মাঠে বিকেলে এসেছিল বন্ধু একদিন খেলার মীমাংসায় ,
হাসি মুখ অসহ্য লেগে মেরেছিলাম ওর গালে চড় হিংসায় ।
বিস্ময় আর বেদনা ভরা দু- চোখ ভুলতে পারিনি কোনদিনও ,
বিকেলে ওর ডাকের প্রতীক্ষায় আমি বসে থাকি এইদিনও ,
সেদিন থেকে স্কুল-পাড়া-কলোনিতে ওর দেখা পাইনি কোনদিনও ,
ওকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বসে থাকি এইদিনও ।