ঘর আলো করে আসলো একদিন আমার নাতবউটা ,
ঘরে লক্ষ্মী আসলো দেখে ভরে উঠেছিল আমার মনটা ,
খোকা আর বৌমার আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিল সেই মেয়েটা হেসে ,
চাঁদপানা মুখটা চেয়ে আমি তাকে করেছিলাম আশীর্বাদ ভালবেসে ।
তার ভালবাসা আর হাসির ছোঁয়ায় বাড়ি ভাসল আনন্দের রেশে ,
তার হাতের ভালবাসার জাদুতে ঘর সাজল চাঁদের হাঁটের বেশে ,
শ্বশুর, শাশুড়ি ,বর আর ঠাকুমার খেয়াল নিয়ে সে সাজাল সংসার ,
আমায় ধরে বলে উঠত সে "তুমি,মা,বাবা আমার নিজ পরিবার" ।
তবুও কখনো তার সুখ দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলি আপন মনে ,
তার রঙিন ভূষণ দেখে একটা চাপা শখ যে জাগে মনে ,
নাতি ও তার খুনসুটি দেখে আমার মনে লাগে একাকিত্যের ছোঁয়া ,
যদিও জানি বাড়ির সবার ভালবাসায় আমার হৃদয় পায় শ্রদ্ধার ছোঁয়া ।
মনে পরে যায় নিজ ভিটা ছেড়ে এসেছিলাম এ বাড়ির বালিকা রূপে ,
কিছু দিন পর সখ-আহ্লাদ, স্বপ্ন উড়িয়ে হল আমার বেশ বিধবা রূপে ,
সমাজের শাসন আর গুরুজনের আদেশে আমার শোক হল দীর্ঘস্থায়ী ,
খাবারের বিচার, সংস্কার আর ব্রতনিয়মে জীবনের সুখ হল ক্ষণস্থায়ী ।
অতীতের স্মৃতিচারণা কেটে যায় "ঠাকুমা কি করছ?" ডাক শুনে,
তার চাঁদপানা হাসিভরা মুখ চেয়ে জীবনের রঙ ফিরে আসে এই মনে ।