মা রে তোর মর্তে উমা হচ্ছে, দহন হচ্ছে বিসর্জন
বয়স হোক নয় বা ষোলো কিংবা কর্মস্থলে প্রকৃতি রূপা।
ভোগী ধর্ষক অসুর যেন জ্যান্ত খাদক মা !
ছোট্ট উমার চোখে যে ছিল ভারি স্বপ্ন আকাশ ছুঁয়ার;
ছিল যে উমার তোর আসার অপেক্ষা ।
সবটাই জানিস মা তুই সত্য- মিথ্যা ,দোষী -অপরাধী
তবে কেন আছিস শুধুই খড়ের দশভূজী?
মা রে অষ্টমীতে তোর জলন্ত প্রতিরূপ
মর্তের কুমারীতে ।
ডাকের শব্দে, পুষ্পের অর্ঘ্য
নিছস তুই কন্যা- কুমারী হয়ে।
তবে কেন সেই একই কুমারীর
প্রাণ -শরীরে এত কাটা ছেঁড়া ? এত রক্তক্ষরণ ?
নয় বছরের ছোট্ট উমার আলতা পায়ের বদলে
শুধুই তার সকল দেহে রক্ত আর রক্ত মা !
মা রে শুধুই যে চারিদিকে শুনতে পাই
দিন -রাত চিৎকার ,কান্নার স্বর ।
মা রে চুপ করে থাকিস না, এবার যে বিচার চাই
আয় মা দানবদলনী হয়ে সকল উমার রূপে।
ওমা তিনটেদিনের পুস্পাঞ্জলিতে অভয়া প্রধান কর ।
শুধু তাই নয় সন্ধিপূজার সন্ধিক্ষণে হে চামুন্ডা;
ধর্ষক বধে উগ্রচন্ডা রূপ প্রধান কর,
সকল মর্তের উমার দেহে ।
হে 'অচিন্ত্যরূপচরিতে সর্ব্বশত্র“বিনাশিনি',
জগো মা, জাগো উমা!