মনভাসি গুন গুন সুরে রাতের  ঘ্রাণ  অন্তহীনে,
চর্যার উষ্ণতা  দিয়ে  কথা হারাতে বুঝি?
মুগ্ধ  লাল চাঁদ আঁধারে  মায়াবিহীন  যতক্ষণ,
নীলগিরি গল্প শুনায়  পাঁজরে মেঘ ভাঙ্গার -
মাতাল  রঙ উড়ে  এসে ফিরে যায়।
আরশির গালে  তখন উদাসী  বিমর্ষ বিধিলিপি,
বৈশাখী ঘূর্ণিতে অবকাশের চিঠি -
যেন নিয়ম মানতে চায় না।

নিবিড়  ঘুমের পালক চোখের  ভাষায়,
আকাশলীনার  গানে লিখে যায়  শুকনো শোভনে।
আত্ম মগ্ন আবার  ভালোবাসার স্পেকট্রামে;
সুগভীর  শূণ্য কাকভোর  খুব  পুড়ছে।
ঘুম থেকে উঠে বরাবর পাখি টা ও বৃক্ষরাশিতে নিখোঁজে!

বেদনার পরিবেশ হাল্কা  শরীরে  জড়ো হয়,
শিকড় নরম নদীতে  নাই বা হলো প্রাণবন্তা।
সব ইচ্ছে পূরণ  হতে নেই  থাক;
কিছু  তর্জনীতে অবাধ্যতা,কিছু  নিরাকার শব্দ,
ইন্টেলেকচুয়ালদের  সংসারে জীবন থেকে অন্য -
জীবনের বৃষ্টির দৃশ্যে নিদ্রা মগ্নে ছুঁয়ে  যায় ।

ময়ূরের নৃত্যে ধীরে ধীরে  প্রশান্তের সুখ,
এই সুখ ক্ষনিকের  নিঃশব্দের কোলাহল।
সার্থক  হোক দীর্ঘ  জন্মের  প্রবল চেষ্টা,
শেষ  হোক নদীর  তীরে যন্ত্রণা ,শেষ  হোক -
মেঘের জন্মের অভিধান শতাব্দীর ঠোঁটে।