তোমার দিব্যচক্ষে অগ্নিগর্ভ রচনা,
ভাষার প্রান্তরে বসে দৃঢ় প্রত্যেক কাব্যে মহাস্নান।
মৈত্রী কন্ঠে সুদীর্ঘ মৌনতা,
তোমাকে ফিরে পাওয়া স্পন্দিতা স্বপ্নে।
আবার একবার নতুন রূপে সমৃদ্ধ বিশ্বজন,
জয়ধ্বনি রুদ্ধশ্বাসে যদিও পাবই আবার;
তোমায় পঁচিশে বৈশাখে গুরুদেব।
পৃথিবীর আয়ু তোমার হোক,
অন্তত ভুবনের তৃষ্ণা পেয়ালা,
সজ্জিত তোমার চিরকালের মহাকাব্য।
নবমল্লিকার নীলিমার নয়নসম্মুখে,
তোমার ও প্রতিচ্ছায়া ললাট প্রভাতে।
ব্যক্ত হোক শূন্য শাখে দীপ্ত শুভ্রতা,
চিত্তে তখন একান্তে ভেসে আসে,
তোমার সেই সুরের অবকাশে --
"মম জীবন যৌবন, মম অখিল ভুবন।
তুমি ভরিবে গৌরবে নিশীথিনী-সম।।
তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম।"
দিগন্তের অসংখ্যের মাঝে,
নির্ঝরের প্রতি পলকে প্রতিক্ষণে,
তোমার ও জন্মদিন রবিঠাকুর;
এ যেন জন্মান্তরের সুধা পঁচিশে বৈশাখ !