তোমার ভাষায় গড়ে,
ছিল অভূ্যত্থান।
যে স্রোতে মৃত্যু - ক্ষুধা,
সময়ের কাছে চিও জ্বলে,
তুমি কলমে তুলেছিলে খঞ্জর।
অস্থির শব্দে যখন ওদের -
আপন তেজ, তোমার বিষ -কন্ঠে-
ধরণীর ধূলি।
মনবের অশ্রুতে অম্বুদের ধ্বনি,
অসহায় ছিল ধৈর্যের মৌনতা -
তুমি ছিলে তখন প্রলংকর রূপে।
তোমার অমৃত- মন্ত্রে জ্বলে,
ছিল অত্যাচারে চিতা।
নিন্দের অর্ঘ্যে তোমার স্নান!
সমাজ মাথাদের শূন্যে,
চিত্ত তোমার শুদ্ধতা।
একাকী তোমার সৃষ্টিত্বের,
জরাগ্রস্ত পৃথিবীর উপগ্রহ।
রুদ্রের দুরন্ত স্রোতে তোমার,
বিদ্রোহ ।
কারাগারে দেওয়াল জানে,
অনন্ত স্পর্শ তোমার।
দীর্ঘ তপস্যা তোমার,
ভাঙতে পারেনি জাতির ভ্রম-
শ্রান্ত স্বপনে পৃথিবী দেশান্তর।
জাতির প্রান্তের স্তবে তোমাকে,
খুঁজে যাই নীরব দর্পণে।
যুগ-যুগান্তের তুমি ছিলে,
আজও আছ, অপরূপ মহিমায়।
যে অ-দেখা ঈশ্বর হৃদয় পটে;
আলোক উল্লাসে করি তোমার -
শিহরণের অক্লান্ত রক্ত সঞ্চয়ে।