সেই চেনা সিক্ত সুবাসে,
তোমাকে  সরাসরি  খুঁজে পাওয়া;
সে আমার  নীরব পথেই চলেছে।
মুঠো মুঠো  শান্তির  প্রাণোচ্ছ্বলতা,
ঝড়ের  বেগে জীবন খুঁজে  পায়।

তোমার  চেতনার অকাল আলোয়,
আমার  প্রত্যাশার প্রশয়  তাই তো-
বেঁচে গেছি  ব্যাথার শাখায় ও;
কখনো  বা  মাঝ স্রোতে গা ভাসিয়ে !

চির শতাব্দীর সূর্য উদয়ে মিশে আছ,
ঠোঁট ভাঙা  আকাশ কথার ফাঁকে।
নতুন  ভাঙা গড়ার  শব্দ  জুড়ে,
থেমে থাকে  ঘড়ির  কাঁটা  যখন -
তোমার  বৈভব আমাকে ঋদ্ধ  করে।

মাঝে  রাতে যখন অতন্দ্র প্রহরী,
তখন  তোমার  মানচিত্রে;
আমার   হাজার  প্রশ্ন ,
বালিশ  পাশে   চশমা ছাড়া-
সঞ্চয়িতা  কিংবা গল্পগুচ্ছে,
মুখ গুঁজে  কখনো  স্বতন্ত্র  একরেখায়-
বেহিসাবি অনুভব স্পর্শে ধারণ করি।

কত  সমুদ্র তোমার  রচনা,
আমার  সীমিত পথচলা।
তোমার ছন্দে  আমার মহাস্নান,
তোমাকে বরণে  কুর্নিশ জানাই  -
বাইশে শ্রাবণ  এ শুধু  আখিঁ-নীর নয়;
এ তো  জীবিতেশ্বরের  জন্মান্তরবাদ।

                                              
                                                  





২২শে শ্রাবণ ১৪২৮