...
ফুলকুঁড়ি একদিন বিকশিত হবে
একথাটি ভাবতেই কবি দ্যাখে আকাশকুসুম
বিকট দৃশ্যপট সরে যাবে- অহরহ এই অনুভবে
আগামী ফুলের সাথে কবিদের দিন-রাত কাটে নির্ঘুম
একদিন আসবেই,অনাগত সেই দিনে ফুল-কুঁড়ি পাবে সম্মান
একদিন সরে যাবে যাবতীয় কোলাহল,চারিদিক হবে, আহ! মধুময়
একদিন শুরু হবে মানুষের অনুভবে সার্থক বেদনার অমলিন সত্য জয়গান
একদিন সমারোহে এইসব কথামালা বুকে ধরে মহাসুখে অবিরত বইবে সময়
যখন যেমন ইচ্ছে সময় সাড়া দিচ্ছে কবির মনে মনে
এই কবিদের ঘর বাড়বে নিরন্তর ক্ষণে অনুক্ষণে
কবির হাতে কুঁড়ি বয়স মাত্র কুড়ি কীইবা তাতে ক্ষতি
স্বপ্ন দুচোখ জুড়ে যাবেই ভূবনপুরে বুঝেছে সম্প্রতি
ভূবনপুরে কোনো নেই দেবতা-দানো
মানুষ এবং মানুষ লিঙ্গভেদের ফানুস
যাক মিলিয়ে যাবেই ঘর খুঁজে সে পাবেই
কবির ঘরের কানে বিষম অভিমানে
ভালবাসার দুল দুলবে, এলো চুল
ছুটবে আকাশ পথে মানবিক ইজ্জতে
কবিই শুধু পারে অজানা সংসারে
নিবিড় মিশে যেতে একাত্মতা পেতে
কবির বয়স কুড়ি হাতে পাথর নুড়ি
না কি বিশ্ব হাতে ভাবছি অকস্মাতে
অনাগত পৃথিবীর যাবতীয় দায়ভার একদিন কবিদের হাতে এসে যাবে
মুছে যাবে অনাচার, অন্তরের অনুভবে পরম গৌরবে
জেগে রবে দিকে দিকে নির্বিশেষ মানবতা,
সৃজনের আদি শেষ কথা