পড়ে পড়ে মাথা ঘোরে কী কঠিন ওরে বাপ!
ছন্দ কি কবিদের জীবনের অভিশাপ?
কভু যদি মিলে যায় অক্ষরে অক্ষর
ছন্দের খপ্পরে পড়ে খাই চক্কর!
এক মাত্রার বেশি পায় না সে সম্মান,
অক্ষর বৃত্ততে যদি লিখে যেতে চান।
অথচ সে অনায়াস হবে দুই মাত্রার,
কলাবৃত্তের চালে চলাচল যদি তার।
মাত্রার সংখ্যাটা বলে দেবে সিলেবল্,
স্বরবৃত্তের চালে যদি করে চলাচল।
ছন্দ ছিল না জানা, আজো জানা হলো কই?
কাছে নেই শিক্ষক, নেই কোনো ভালো বই।
তবু লিখে যেতে হবে, এ যে বড় ঘোড়া রোগ!
না হয় হলাম শুধু মাত্রাতে অপারগ।
আছে এক পদ্ধতি; বিকল্প বলা যায়,
বলব কি বলব না, ভেবে পিলে চমকায়!
তবু জানি গুণিজন মার্জনা করবেন,
একটু না হয় ভুল গাড়িতেই চড়বেন।
আসল কথাটি তবে বলা যাক এইবার-
মনুষ্য প্রজাতিতে দুটি কান নেই কার?
কান দুটি টেনে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিন,
অন্তরে যে যে ভাব এক্ষুণি লিখে নিন।
কর্ণই মাত্রার উত্তম বিচারক,
সেই সাথে তালে তালে করে যান ঠক্ ঠক্;
হাতের আঙুল ঠুকে, পা ঠুকেও করা যায়।
কান পথে মাত্রারা এসে যাবে হাতে-পায়!
মাত্রার নামধাম না জেনেই বিলকুল
নানা মাত্রার চালে লেখা হবে নির্ভুল।