উজাড় করে তোমায় দিয়েছিলাম।
সমুদ্রের লবনাক্ত জলে অবগাহন করেও
শান্তি পেলেনা মনে ?
উন্মত্ত হয়ে মেতে উঠেছিলে সমুদ্র স্নানে, শরীরের প্রতিটি শিরা উপশিরায় অনুভব
করলে সমুদ্র স্নানের সুখ।
সারা জীবন পুকুরের ঘোলা জলে স্নান
করতে করতে একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছিল জীবন।
তাই আজ সমুদ্রের নোনা জলে নিজেকে নিক্ষেপ করলে অবলীলায়।
কি সুখ পেলে তাতে ? নিজস্ব সম্পদ বলে আজ আমার আর কিছু অবশিষ্ট রইলনা।
যেটুকু রইল তাতে তো শুধু তোমারই অধিকার !!
কত চড়াই উৎরাই ভেঙে পাহাড়ের গুহা
অতিক্রম করে নেমেছিলে সমুদ্র স্নানে।
চলতে চলতে ছোট বড় পাহাড়ি টিলাতে থমকে
গেছ, হয়তো মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখেছ
তার শোভা।
হৃদয়ে অনুভব করেছো স্বর্গীয় সুখ, তাই কখনো
মনের অজান্তে নেমে গেছ গভীর গিরিঘাদে।
সেখানে দাঁড়িয়ে অবলোকন করেছো পাহাড়ী
ঝর্ণার নগ্ন রূপ।
ভেবেও দেখনি হয়তো তোমায় দেখে ঝর্ণার
মুখও লাজে রাঙা হয়ে উঠেছিল।
তোমার পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েছে উপত্যকায়
গজিয়ে ওঠা কোমল ঘাস।
তবুও তুমি থেমে থাকনি, অসীম আগ্রহে এগিয়ে
গেছ সমুদ্রের পানে।
সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ ভেঙে খেলায়
মেতেছ অবলীলায়।
হয়তো সমুদ্র তোমায় এতটা উন্মত্ত হতে নিষেধ
করেছিল, তার কথায় সেদিন কর্ণপাত করনি।
তোমার উন্মত্ত আচরনের কাছে বাধ্য হয়েছিল
সমুদ্র নিজেকে সমর্পণ করতে।
কিন্তু তুমি খুশি তো ?
কারন তোমার খুশিতেই লুকিয়ে আছে সব সুখ।