ব্র্যাক এ ভর্তি হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে আমি অন্য যে আরেকটি ভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছিলাম সে ভার্সিটি তে আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাপ্তি ছিল আমার ২ জন বন্ধু। ২ জনই মানুষ হিসেবে চমৎকার। তাদের সাথে আমার শেষ বারের মতো দেখা করার সৌভাগ্য হয়নি। খুব সামান্য স্মৃতি আমার তাদের সাথে। তাই দিয়ে তাদের জন্য সামান্য কিছু এলোমেলো চরণ লেখার প্রয়াস।
জানিনা তাদের আদৌ ভালো লাগবে কিনা।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমাদের তিনজনের নামের শুরু ‘স’ দিয়ে।
এই কবিতাটি “সাজনীন সম্পা সুরমা” এর জন্য–
দেখেছি তোমায় আমি
মাত্র দুদিন সামনে থেকে !
লেগেছে ভালো ভীষণ তোমার
মিষ্টি স্বভাব মন ভোলানো.......
ভেবেছিলেম পড়বো দুজন
একসাথে রোজ,
ধরবো পড়া, পাতাবো সই
কাব্য লেখায় মোরা কেউই
অলস নই !
মনে পড়ে আজও
চোখটি তোমার,
আন্তরিকতা পূর্ণ !
তোমার মতো বন্ধু পেয়ে
আমার জীবন ধন্য।
এবং
এই কবিতাটি “আলভী ইসলাম সিফাত” এর জন্য–
চাচা কিন্তু চাচা নয়
এমন চাচাকে নেইকো ভয় !
হাসিতে তার মুক্ত ঝড়ে
আন্তরিকতায় বন্ধু গড়ে।
শুরুটা যদিও স্বার্থ কেন্দ্রিক
আপনি ডাকেই বেশ,
হঠাৎ পাওয়া চাচার আমার
গুণের নাইকো শেষ।
আমার মতোই ক্রিকেটপ্রেমী
দায়িত্বজ্ঞান ভীষণ,
তাঁর সাবলীল বাচনভঙ্গি
ভাবায় তাঁকে আপন ।
চার জেলার বাসিন্দা তিনি
স্বভাবের স্বচ্ছতা মনোরম,
ভার্সিটি জীবনে তিনি আমার
পাওয়া বন্ধু প্রথম।
সেকশন ভাগে আলাদা হওয়া
সেই থেকেই শুরু,
ভালো মানুষ হবেন একজন
এই কামনাই শুধু।