মাতা হইলো ভালোবাসা, পিতা হইলো সুখ,
থাকিলে দুই রত্ন জীবনে, আসিবে না কভু দুখ।
বিপদ আসিলে সদা পিতা ছায়া হইয়া রয়,
বুকেতে জড়াইয়া মাতা কহেন, নাহি রে কোনো ভয়।
জীবনের দুঃসময়ে ছাড়িবে তোমায় আছে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন আর পাড়াপড়শি যত,
পাশে থাকিয়া তবু পিতা–মাতা যুগাইয়া চলিবেন সাহস অবিরত।
আপণ স্বার্থ বলিদানে মাতা সদা অগ্রণী,
সকল আবদার মিটাইবেন পিতা স্বীয় রক্ত করিয়া পানি।
সন্তানের সামান্য আঁখিজলে মমতাময়ী মাতা
করিয়া দেন সাত খুন মাফ!
সন্তানকে পিঠে বসাইয়া ঘোড়া সাজিয়া পিতা
দিতে পারেন লাফ-ঝাঁপ!
সন্তানকে মানুষ করিতে মাতা কখনো করেন রুদ্রমূর্তি ধারণ,
পাদুকার আঘাতে শাসন করেন, না শুনিয়া কাহারো বারণ।
মজার মজার গল্প বলিয়া পিতা যেমনি দিতে পারেন আনন্দ,
অভিমানে কখনো করিতে পারেন তেমনি কথা কওয়া বন্ধ।
এই জগতে পিতা–মাতার তুলনা যে নাই
ত্রিভুবনে তাহাদের মত এতো আপন কোথা গেলে পাই?
এই জীবনে পিতা–মাতার মূল্য কি তা বোঝে সে
পিতা–মাতা হারা হইয়াছে যে ।
পিতা–মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন সে তো সকল সন্তানেরই কর্ম,
সুখে–দুঃখে তাঁহাদের সেবা করাই সকলের পরম ধর্ম।
সন্তানের লাগিয়া সারাটি জীবন পিতা–মাতা ঝরান তনুর ঘর্ম
তাই যথাসময়ে বুঝিতে হইবে পিতা–মাতার মর্ম।