জীবনের উনিশটি বসন্ত পেরিয়ে
আচমকাই যৌবনে পা ফেলার দিনে,
হঠাৎই শব্দ বিহীন মায়াবী এক হুংকার দিয়ে
দেবীরুপে ঝলমলে সূর্যের আলোর মতো প্রেম নিয়ে
তুমি এসেছিলে
আমার অনুভূতির দুয়ারে কড়া নাড়তে।
আমার প্রথম যৌবনে পাওয়া
তোমার সেই প্রেমের আহ্বান,
আমি পারি নি সেদিন উপেক্ষা করতে।
আমার সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত মনটি তাই সেদিন
নব অনুভূতির স্বাদ আস্বাদনের নেশায়
ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে গিয়েছিল তোমার পানে।
যে অনুভূতি ছুঁয়েছিল হৃদয় থেকে হৃদয়ের গহীনে,
যে অনুভূতি বেধেছিল দু'জনাকে প্রণয়ের বাঁধনে।
তারপর, দুটি হৃদয়ের অসংখ্য ভাব আদান–প্রদান হলো প্রতিদিন,
কত গান, কত কবিতায় দ্রুত চলে গেলো জীবনের কতশত দিন।
হঠাৎ কোনো এক জ্যোৎস্না স্নাত রাতে,
হৃৎ মাঝারে নিয়ে এক অতৃপ্ত অভিলাষ
আমি ছুঁয়ে দিয়েছিলাম তোমার উচ্চ শ্বাস,
যার মাঝে ছিল আমারই সর্বনাশ!
বৃষ্টি মুখরিত ভয়ংকর কোন এক মন কেমনের দুপুরে,
তুমি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ছিলে
তোমার হৃদয় অঙ্গনে।
আমার সমস্ত অনুভূতির মালিকানা তো সেদিন থেকেই
হয়ে গিয়েছিল তোমারই নামে,
তোমার প্রথম প্রণয় স্পর্শে,
যেদিন প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি
জেগেছিল এই প্রাণে,
অনাবিল সুখে হারিয়েছিলাম নিজেকে
সেই অনুভূতির আলিঙ্গনে।