এই কবিতাটা তোর জন্য রে সূর্য!
সারাজীবন ক্লান্ত পায়ে পথ হাঁটার পর–
যে আজ ভারি একাকি নিঃসঙ্গ!
আর কতদিন লড়তে হবে বল?
আর কতো দিন গোধূলির অস্তবেলায়–
সারা আকাশ রঙের খেলায়,
একটি স্বর্ণাভ দিন শেষে
আরও সুন্দর স্বচ্ছতর এক
মায়াবী রূপ যেন ডুবে যায়–
এ বৈষয়িক আড়ম্বরে
কালের অনন্ত গভীরে!
একটি ফুলের মতো স্বপ্ন নিয়ে
সেখানেও তোকেই তো লড়তে হবে,
এ ভীষণ ভারি কঠিন পরিস্থিতিতে,
দুঃসহ যন্ত্রনার সুচিবিদ্ধ অন্ধকারে,
নান্দনিক সময়ে!
তোকেই তো লড়তে– হবে–
তুই না সংগ্রামী,
তুই না লড়াকু!
কোনও দিন কোনও স্বর্ণাভ ক্ষণে–
শুভারম্ভে তোরে,
নতুন প্রভাত জাগাবে না
অনুদ্গীর্ণ আভায়,
আমাদের আহত স্বরে!
মহিমার রক্তিম গোলাপে,
পৃথিবীর অপরিমেয় অসীম সুখ–
তোর জন্য নয়,
কোনও দিন দেখা হবে না
তার সাথে তোর,
জানি আমি।
তবুও জীবনের অন্তিম ক্ষণে–
রক্তের প্রোজ্জ্বল শান্ত স্বভাবে,
অগনন হৃদয়ের ভেতর দিয়ে
একটি কবিতা,
রেখে গেলাম শুধুই তোর জন্য!
এই কবিতার রক্তিম দীর্ঘ অবক্ষয়ে,
একটি বিরল পরিচ্ছন্ন অভিমত রেখে গেলাম!
সেও শুধু তোরই জন্য,
পাষাণের মতো কঠিন তিতিক্ষায়!
পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ বিলাসে,
রেখে গেলাম এ মোর কবিতাখানি,
শুধু তোর জন্য!
তুই না পুরুষ।