রাস্তার বাম পাশ ঘেঁষে চলো হে ছোঁকড়া,
রাস্তার বাম পাশ ঘেঁষে চলো।
বিস্তীর্ণ মধ্যপন্থায় বড়ো ভিড় জমে যায়!
প্রত্যহ পৃথিবীর দীর্ঘ অঙ্গীকারে জমে,
সড়কের মধ্যেখানে নিশ্চল যানবাহনের প্রশস্ত মিছিল!
এ সড়কের মধ্যিখান তোমার জন্য নয়।
প্রলম্বিত ছায়ারা এখানে কাঁপে,
প্রকল্পের অতিশয় প্রকম্পনে–
মাঝে মাঝে ব্যাথারা দীর্ঘ হয়,
নন্দিতার অসহ্য নিঃশ্বাসের মতোন!
স্বপ্নময় নিবিড় কুয়াশায়–
আকাশের নিমীল আহ্বানে।

অন্তহীন রক্তিম কল্লোলিত ভোরে,
নিশ্চিহ্ন প্রাণের সুতীব্র গন্ধ মেখে
কার সে চ্ছিন্ন ভিন্ন দেহখানি!
বিধুর লালিমায় পড়ে আছে পথ জুড়ে,
মধ্যপন্থী প্রাণহীন নিশ্চল।
এ কালের অনুদ্গীর্ণ বাতাস–
রতিময় ত্যাগ অন্ধ সমীরে,
স্তিমিত নিঃশ্বাসের অনুপম স্বপ্নের ঘ্রাণ,
অনাড়ম্বর আলো!
বুঝে নেয়,
বুঝে নেয়–
মায়াবি দীর্ঘ পথে অনুপম অগনন তিরে,
তবু কি নিরুজ্জ্বল আশ্বাস!
নিস্পন্দ নিরুত্তর আক্ষেপে,
রক্তস্মিত শতাব্দীর অন্তিম ঘুমে,
সৃজনের প্রাচীন অনঙ্গতায়!
হিম অর্ধমৃত সভ্যতার বিস্তৃত নয়নে–
আঁধার এ নগরীর।

জানো হে তরুণ,
ততদূর বিষন্নতা ছড়ায় এ সমাজ!
জাতকের সময়রন্ধ্রে মলিন ধূলার স্রোত–
অন্ধকারের অসীম উৎফুল্লতা হারায়,
দুঃসহ দিগন্তে তখন অবিরাম শয়নের
নিরুদ্যম স্বপ্নময় উল্লাস দেখে নিয়ে,
রাস্তার বাম পাশ ঘেঁষে চলো হে ছোঁকড়া,
রাস্তার বাম পাশ ঘেঁষে চলো।

অবনীন্দ্র স্বপ্ন তিমিরের অস্তিত্বহীন নির্বাক
সমানুবর্তীতায়!
না হয়,
রেখে যেয়ো প্রাচীন শতাব্দীর নিশ্চল নগরীর বুকে,
সড়কের মধ্যেখানে এক ধূসর ধন্যবাদ।
তোমার এইসব অনাদি ঘুমের ভিতর দিয়ে,
এইসব নিরুপম ঈর্ষান্বিত অন্তিম প্রয়াণের!
ঠিক এভাবেই।।