চলো জ্যোৎস্নার দিকে যাই–
এখন পৃথিবীর পাশবিক কালিমা,
কিম্বা কয়েকটি এলোমেলো কথার গুঞ্জন হতে,
যদি একটি লাবণ্যময় রাত্রি নেমে আসে,
তবে কি? —
নয়নোজ্জ্বল সন্ধ্যার অসম্বৃত আলোয়,
আরও সুন্দর সব কিছু স্তিমিত হয়ে যাবে!
শব্দের কলঙ্ক নিয়ে
পৃথিবীর সমুচ্চারিত শ্বাসে।
না থাক কবি—
এখন আর স্তব্ধতা নয়,
কফিনের নিঃস্ব রিক্ত তলে পৃথিবীর অনন্ত সময়!
এখন সমাদৃত হবে
সমাধির বৈষয়িক সঙ্গম তলে, ঋদ্ধতার অনন্ত গভীরে;
কোনদিন আরও সুন্দর এই জ্যোৎস্নার জলে—
জগতের স্তম্ভিত ছায়া দেখি নি কো,
তবুও নিঃসঙ্গ চেয়ে থাকি টার্সিয়ান পাষাণ গরিমায়,
এ ধরণীর রিক্ত প্রাণ আঙিনাকে–
আঙিনায় কোনও জ্যোৎস্না দেখি নি তো কোনও দিন!
দেখি উচ্ছ্বল তরঙ্গের স্রোতে চাঁদের আলতো মহিমা,
নিটোল গোলাপের দেহ তবু কেন চ্ছিন্ন ভিন্ন হয়,
আরক্তিম ধূসর আলাপে!
কে ঘোষিবে
সূর্যের অমিত জয়গানে,
তার অন্তিম স্খলন?
হে কবি—
এ জীবনের গাঢ় অতলে
দেখে নাও অশ্রুর বিবরণী জল,
নিজেকে ঐশ্বরিক আহ্বান মনে করে–
অকাতরে বিলোয় নিজ প্রাণ,
পৃথিবীর আয়ত সম্ভব
ঘুমহীন তমসায়!
আর কোনও দিন জেগো নাকো,
জেগো নাকো তুমি–
নিরন্ধ্র রাত্রির তীরে সদম্ভে স্ম্রিয়মান,
কোনও এক হৃদয়ের ফুলে।।