অমিত বিতৃষ্ণার আতঙ্কে আতঙ্কে
কারা যেন খুঁজে চলে,
একটি অনুদ্যম আহত সংসার!
শ্বাপদের হিংস্র জিঘাংসায়—
একটি অস্পষ্ট চোখ
যেন স্থির দৃষ্টে চেয়ে আছে,
বিনীদ্র রাত্রির পানে।
কেন চেয়ে আছে!—
আজও তারা?
রক্তিম জিজ্ঞাস্য গুলির অস্পষ্ট নয়নে
কোন দূর অসংগত নিবিড় আকাঙ্খায়
খুঁজে চলে,
অতিদীর্ঘ রক্ত পাতে—
পৃথিবীর এ ভয়ংকর অসুস্থ সময়!
হিংস্র চঞ্চল শলাকা গুলিও
কালের নিবিড় অবগুন্ঠনে–
সমৃদ্ধ কুয়াশায়,
নেকড়ের প্রোজ্জ্বল শানিত রক্তক্ষয়ে,
দাঁত নখ হতে চাই!
যেন অজস্র উজ্জ্বল আবেগ–
বুকের রক্তিম যাত্রাপথ থেকে
নির্গত হয়ে দিনান্তে আসন্ন সন্ধ্যার উন্মীলণে,
হিম হিম শতাব্দীর প্রারম্ভিক জ্যোৎস্নায়
রেখে যায়
তার শেষতম বাসনার যৌবন অভিসার!

এ দিগন্ত তবু কি আদিম মহিমার ধূসরে
জেগে থাকে!
ঐকান্তিক মানবীয় প্রেমের
অসম্ভব মধুরিম স্বপ্ন তমসায়,
সৌরভে সৌরভে।
কতোগুলি নিরাভরণ মুখ,
মুখোশের অন্তরাল হতে আশ্চর্য সময়ের উন্মেষণে
জেগে উঠে ফের একবার দিগন্তে মিলায়
হয়তো
আত্মগর্ভ জিজ্ঞাস্যের তীরে,
প্রেতের আত্মিক বিম্বের মতো–
সেইসব বিমূর্ত অভিপ্রায়।

ঘননীল ঘনিষ্ঠ আঁধারে—
তবু এক ক্ষমাহীন সন্ধ্যা,
পৃথিবীর অখ্যাত যাত্রারধ্বনি,
অনন্য উদ্ভাসণে স্তব্ধ করে দিতে চেয়ে,
এখন বিস্তীর্ণ হাওয়ার–
নিষকলঙ্ক নিরোলোক সমীরণ শোনে।
যদিও তারা আজ স্তব্ধ হয়ে যাবে
প্রগতিশীল পৃথিবীর সমৃদ্ধ
স্মৃতিচিহ্নের গোপন গোপনে,
সতৃষ্ণ জিজ্ঞাস্যের অমোঘ রাত্রির কিনারে,
যদিও বা চাঁদের মহিমা ছুঁয়ে
আজ এক অন্তিম আঁধার।।