স্বপ্ন তমসার মধ্য হতে জেগে—
একটি অমলিন মুখ আমায়,
চির নূতনের আহ্বান জানায়;
জানি সে তোমার কলহাস্য রঞ্জিত মুখ।
তোমার বিনীদ্র নয়নে লেগে আছে
শতাব্দীর অরুণিম জিজ্ঞাসা,
বিগত অস্তিত্বের তীরে—
কালের অমরেন্দ্র সমীরে!
দ্যাখো তবুও একটি পাখি উড়ে গেল কি অনুপম—
স্বপ্নের ভেতর!
তার নিষ্করুণ
সমুজ্জ্বল ডানার ভরে!
যেন সেই
বিগত শতাব্দীর মহিমান্বিত তমসার ঘ্রাণ—
নদীদের সুশীতল শান্ত সলিলে স্বপ্নে সাজানো কিছু কথা,
তারও সুস্নিগ্ধ প্রচ্ছায়া মাঝে জেগে ওঠে,
বিস্ময়মাখা একটি নিরুপম শানিত প্রোজ্জ্বল মুখ!
জানি—
সে তোমার মুখ;
স্বপ্ন রঙের ক্লিষ্টতায় কোনও দিন যারে আমি— অব–হেলা করি নি কো!
অসম্ভব অন্তিম ঘৃণিত শষ্যায়,
অশ্রদ্ধা করি নি যাহারে।
যদিও সস্মিত নয়নে দেখি
হিমেল কুয়াশা!
এখন রাত্রির অন্তিম অবসন্নতায়,
বেদনার আদিগন্ত নীড়ে।
তোমার সেই মুখ চিরন্তন ভাস্বরতায়!
নক্ষত্রের আদিম নিয়মে,
আমার এ ঐকান্তিক হৃদয় করেছে হরন!
কেবল হননের হীনতা যেখানে নেই,
যেখানে অনুভূত নয় কোনও এক অখ্যাত অমলিন ক্লেশ!
এই ম্লাণ মূক শতাব্দীর
অনঙ্গ মহিমায়
তবে রেখে যাও তবে তোমার সেই মুখ!
আমার শান্ত ঘুমের মাঝে
চির নূতন এক স্বপ্নময় প্রশান্তির দেশ।।