কেই বা আছে অন্ধকারে কোথায় বা তার ঘর?
বুকের মাঝে ত্রস্ত হিয়ার মস্ত চরাচর!
সেই হিয়ার ই মধ্যেখানে—
রাখি তোমায় সঙ্গোপনে!
কেই বা আছে আমার মনে ঘুমের সদাগর—
স্নিগ্ধ কায়ার হিয়ার মাঝে কোথায় তোমার ঘর?

বলতে পারো আঁধার রাতের কেমন ছিল জ্যোতি?
নিবিড় হিয়ার অস্তাচলে প্রনম্য আরতি,
সেই পূজার ই বরণডালায়—
কেথায় অর্ঘ সোনার থালায়?
আপন হৃদের কনকমালায় ফুটক তাহার জ্যোতি!
স্বর্ণকমল নৈবেদ্যের অমোঘ সে আরতি।

সুখ সৌখিন অন্তিম গানে বেদনার দীপ জ্বলে,
অন্ধকারের অভিজ্ঞাণে মনের কথা বলে!
বলতে পারো কোন সে আলোক—
আজও রচে যায় করুনার শোক!
ফুটলে যে ফুল অতল
নিশার শীতল কালো জলে—
অভিজ্ঞাণও যে তাই আঁধার রেখায় মনের কথা বলে।

উদাসী হাওয়ার বিকেল যে আজ কখন নিভে যায়?
কোন কিশোরীর ঘুঙুর বাঁধা অরুণ রাঙা পায়!
কোন হিয়াতে স্বপ্ন মগন—
আজও নেচে যায় চপল চরণ,
সন্ধ্যা হাওয়ার ব্যস্ত বীজন আঁধার ঘেরা গায়!
কোন কিশোরীর স্বপন আঁকা অরুণ রাঙা পায়।।