যা হোক কিছু একটা নিয়ে এসো,
যা হয় একটা কিছু,
চাপা দাও–
আমাদের এই রক্তময় ক্ষতের ওপর,
যেখানে দগদগে ঘা!
এক খন্ড চ্ছিন্ন বস্ত্র,
ফেলে দেওয়া একটুকরো কাপড়–
শতচ্ছিন্ন লজ্জায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠা মুখ!
যা হোক কিছু একটা নিয়ে এসো–
এ ক্ষতের গোপন ক্রন্দনে কী অসহ্য বেদনা,
কি অস্ফূট আঁতাত!
মানহারা মর্যাদার দ্বারে–
দীর্ঘ সম্বন্বয়ের কারারুদ্ধ রক্ত অঙ্গনে,
শতকের অন্ধময় নিরাশার জলে!
বেদনার একটা জ্বলে যাওয়া নিস্পন্দ শরীর–
চাপা দেওয়ার মতো,
কিছু কি পেয়েছো বলো!
পেয়েছো কি শুভ্র নীল জ্যোৎস্নার প্রান্ত সীমায়–
কোনও এক স্বপ্নিল স্বচ্ছ মানবের মন!
পেয়েছো কী বলো?
রাত্রির অনন্ত অনিশ্চয়তায় অন্তিম সৃজনের অঙ্গার নিদাঘে,
জিজ্ঞাস্যের মোহময় চন্দন মেখে–
কোনও এক প্রনম্য সভ্যতার শতাব্দী প্রাচীন,
হিমময় উৎফুল্লতার অঙ্গার শবে–
পৃথিবীর পুরাতন অন্তিম প্রজ্ঞায় জমাটবদ্ধ আঁধার,
বলো আর কবে?
আর বলোও তবে কবে–
কালের দিব্য কন্ঠে হিমময় সভ্যতার বুকে,
সভ্যতার নয়ন আভায় চিরচিহ্ন এঁকে যাবে!
বলো আর কতকাল–
কতকাল এইসব অমাময় অসীম অন্ধ নমস্কারে,
যদি কিছু পেয়ে থাকো বলো!
এ মৃতের মানব আত্মার সমীপে।
যারা তাও পেরিয়ে এসেছে সহস্রকাল–
তমসার সব ঠিকঠাক বিশ্বাসের নামান্তরে,
বিবর্ণ অক্ষর সঙ্গিনীর মতো অন্তিম ঘুমের ভিতর!
পেয়ে এসেছে কিছু একটা,
শবের স্থবির রক্তের গর্ভে,
এতোকাল লজ্জিতার আত্ম রক্ষার্থে।
এ রক্ষণশীল রক্তিম সমাজে,
আদিগন্ত সম্ভ্রমহীন ক্ষয়িভূত নারীর,
অসম্ভব লজ্জা নিবারণের জন্য–
অবশ্যম্ভাবি প্রয়োজনের তাগিদে,
কিছু একটা পেতেই হবে তোমায়!
যে কোনও একটা কিছু।।