ওরা  আজ আর নেই!
পৃথিবীর অন্ধকার ভস্মসার সময়ের
সুস্নিগ্ধ নিয়মে,
কোনদূর প্রশান্তির দীর্ঘ অতলে তলিয়ে গেছে।
অশেষ উজ্জ্বল মানবের আক্ষেপে—
ওরা আজ আর নেই!
আদিম অনন্ত স্বপ্নের দেশে
ধরাতল সমৃদ্ধ মানবের নিবিষ্ট মননে—
ওরা আজ মৃত!
পলাতক প্রাণ।
তবুও রেখে গেছে প্রগাঢ় রক্ত শয্যায়—
সম্বলহীন মননের দৃপ্ত আহ্বান!
অনিঃশেষ স্বপ্নের ঘ্রাণে,
মানবেন্দ্র চেতনার কাছে—
যত্নহীন কতোগুলো অবয়ব!
অবিরাম নিঃসঙ্গতায়—
স্থির ঋদ্ধ কঙ্কালের মতো,
রেখে গেছে সুস্পষ্ট চিন্তনে—
আজও তার নিষ্কলুষ স্বপ্নের অনিন্দ্য সংকেত!
প্রথম মিঠে আহ্বানে প্রশান্তির অতলান্ত হতে
যে নূতন ঋদ্ধতা ফুটে ওঠে—
তার তরেও রেখে গেছে তারা
জন্ম জন্মান্তরের বিস্মৃত অভিক্ষেপ!
নবরূপ প্রাণের সংকল্পে।

কার্তিকের হিম অন্ধ কুয়াশায়—
আসমুদ্র হিমাচল মায়ালীন তমসার আকাশ শরীরে!
সারা মাঠ জুড়ে যে এক অবিসম্বাদি ফসলের ঘ্রাণ,
তরঙ্গহীন ঘুমের নিরিখে!
নিবিষ্ট উচ্চারণে খুঁজে নিও তাকেও!
প্রদীপের অমোঘ শিখার আলিঙ্গনে—
দীর্ঘতায় রাত্রির এক অনন্য তপস্যার মাঝে।

রক্তপ্রাণ ত্রিশূলের স্বেদ গ্রন্থি হতে,
নব জন্মের জটা সমৃদ্ধ অভিজ্ঞান ছিঁড়ে ফেলে—
অনিঃশেষ খুঁজে ফিরো!
অনারূঢ় সত্যের মতো সমুজ্জ্বল,
সেইসব মৃতপ্রায় স্বপ্নহত বিহঙ্গেরে!
কিম্বা তাদেরই।।